ঢাকা অফিসঃ
কমরেড নির্মল সেন ছিলেন সৃজনশীল মানুষ। তিনি অন্যায়, প্রতিবাদের রাজনীতি করতেন। সংগ্রামী ও আপসহীন নেতা ছিলেন তিনি। নির্মল সেন ক্ষমতার লোভের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। তিনি মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চেয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি। বরং আগের চেয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর হার কয়েকগুণ বেড়েছে। ক্ষমতায় যাওয়া এবং আসার প্রতিযোগিতায় অকালে জীবন দিতে হচ্ছে শিশুসহ অনেক মানুষকে।

রবিবার বিকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘রাজনীতিক ও সাংবাদিক কমরেড নির্মল সেনের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকামহানগর আয়োজিত স্মরণসভায় নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, শ্রদ্ধা জানান ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনছার রহমান শিকদার, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল কাউছারী, যুব নেতা জিল্লুর রহমান পলাশ, ছাত্র নেতা সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, নির্মল সেন সাংবাদিক হিসেবে ছিলেন ঐক্যের প্রতীক। তিনি সব সাংবাদিকদের একত্রিত রেখেছিলেন। তার সময়ে সাংবাদিকদের মধ্যে এমন বিভক্ত রাজনীতি ছিল না। তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিক ও মুক্তিযোদ্ধা কমরেড নির্মল সেন সত্য কথা বলা থেকে কখনো পিছপা হতে না। তিনি বেশি কথা বলতেন না; তেমনি তার লেখাও ছিল সুনির্দিষ্ট। তার দৃঢ় লিখনী ও সংগ্রামের মাধ্যমে লড়েছেন স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে। করেছেন মুক্তিযুদ্ধ। শ্রমিক আন্দোলনেও ছিলেন সফল সংগঠক। দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ করতে হলে নির্মল সেনের আদর্শ ধারণ করে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ শহীদুননবী ডাবলু বলেছেন, দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্মল সেনের অবদান আগামী প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় ও অনুস্বরণীয় হয়ে থাকবে। আজকের প্রেক্ষাপটে নির্মণ সেনের মত দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের প্রয়োজনীয়তা জাতি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে।

সরকার সংবিধান অধিকারগুলোকে পদদলিত করছে : ন্যাপ

গণতান্ত্রি রাষ্ট্রে বিএনপির সভা-সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালনে বাঁধা ও বিরোধী দলকে দমন করে সরকার সংবিধান স্বীকৃত রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে পদদলিত করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

রবিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এই অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকারের বাঁধা প্রদান করে বর্তমান সরকার নিদেজের বাকশালী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে সরকার সারা দেশে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে পদদলিত করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশের অধিকারকে দমন করা হচ্ছে নির্দয়ভাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *