মো জহুরুল ইসলাম নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি

সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া ছেলে সন্তান কে দূর সম্পর্কের ফুপাতো বোনের কাছে মাত্র ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করলেন জোসনা বেগম (৩১) ও নাদিম হোসেন (৩৬) দম্পতি ।

আজ মঙ্গলবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার সৈয়দপুর ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এই নবজাতকের জন্ম হয়।
নবজাতকটি ভূমিষ্ট হবার পর বিকেলে তার বাবা লিমা বেগমের (৩৫) কাছে মাত্র ২০ হাজার বিক্রি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতালের কয়েকজন নার্সের সাথে কথা হলে নাম না বলার শর্তে একজন সিনিয়র নার্স বলেন সকালে জোসনা বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হলে সকাল ১১ টায় সে একটি সুন্দর ছেলে বাচ্চার জন্ম দেয় ।

পরে বিকেলে দেখতে পাইনা যে নবজাতকের বাবা নাদিম একটি মহিলার সাথে কিছু কথা বলছে আর কি যে কিসের কাগজে স্বাখর করছে তখন আমি বিষয় টি বুঝতে পারিনি ।

এদিকে মনজু নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি দুপুর থেকে নবজাতকের বাবার চলাচল ও কথা বার্তা অস্বাভাবিক দেখে সন্দেহ হলে আমি তাকে ফলো করি পরে দেখতে পাই একটি মহিলার সাথে সে কথা বলছে আর কিছু চুক্তি পত্রে সে সই করছে আর তার স্ত্রীর ও সই নিয়ে সেই মহিলাকে দিলে মহিলা টি তাকে ২০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল হাতে দিয়ে সন্তান কে নিয়ে চলে যায়।
এবিষয়ে নবজাতকের বাবার সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে তিনি এ বিষয় নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
তবে নবজাতকের মা জোসনা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন যার কাছে আমার নবজাতক ছেলেকে দিয়েছি সে আমার দুর সম্পর্কের ফুপাতো বোন তার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় আমি ও আমার স্বামী দুজনে মিলে স্বেচ্ছায় তার হাতে আমাদের সন্তান কে তুলে দেই আর আমার চিকিৎসা সুষ্ট ভাবে চলার জন্য সে খুশি হয়ে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছে কে বা কাহারা এবিষয় টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করা শুরু করেছেন।

এবিষয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার নবিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন লোক জনের মুখে সন্তান বিক্রির খবর পেয়ে আমি হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার মোছাম্মদ মাসুদা আফরোজ কে সাথে নিয়ে প্রসূতি মায়ের কাছে গিয়ে নবজাতককে দেখতে না পেয়ে থানায় বিষয় টি অবহিত করি
এদিকে এবিষয়ে সৈয়দপুর থানার ওসি ভারপ্রাপ্ত আবুল হাসনাতের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয় টি আমি জানার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নবজাতকে লিমা বেগম নামে এক মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার করে প্রসূতি মায়ের কাছে দেই আর লিমা বেগম শহরের নিচু কলোনির খায়রুল ইসলামের স্ত্রী আর এই ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *