বিশেষ প্রতিনিধি:
পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরনে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডের নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪শত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে জানা যায়, ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর সর্বমোট ১২১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখায়-২৫, মানবিক শাখায়-৫২, ব্যবসা শিক্ষায়-৩৩ এবং অনিয়মিত ১১ জন। মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরিশাল থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফি এ বছর ধার্য করা হয়েছে, ব্যবসা ও মানবিক শাখায়- ১ হাজার ৬১৫ এবং বিজ্ঞান শাখায় ১ হাজার ৭১৫ টাকা। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ গড়ে ৫ হাজার টাকা করে ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে। নব নির্বাচিত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম কবিরের কাছে দেওয়া প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত এই টাকার একখানা হিসাবের তালিকা থেকে এ সব তথ্য জানা যায়। উত্তেলিত টাকা থেকে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ও চালান খরচ ৬০০ শত টাকা দেওয়া হয় । বাকী ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪শত টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যয় দেখিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ করার শর্তে জানান, ফরম পূরনে ফি আদায় করতে ওই প্রধান শিক্ষক কোন সাব-কমিটি গঠন করেননি। এমনকি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্য অথবা স্কুলের কোন শিক্ষককে তিনি জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি।
এসএসসি পরীক্ষার্থী জুবায়ের ৪ হাজার ৫০, অনিক ৪ হাজার ৫’শ, শাকিল ৬ হাজার, রেজাউল ৪ হাজার ৫০ টাকা দিয়ে ফরম পূরন করেছেন বলে তারা স্বীকার করেন। স্কুল ম্যনেজিং কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি গোলাম কবির ফরম পূরনে অতিরিক্ত ফি আদয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার আগেই ফরম পূরন শেষ হয়েছে। ফরম পূরনে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে এ অভিযোগ আমি ছাত্র অভিভাবকদের কাছ থেকে পেয়েছি। প্রধান শিক্ষক শিক্ষানীতির পরিপন্থি কাজ করেছেন। ছাত্রদের কাছ থেকে ফরম পূরনে অতিরিক্ত যে টাকা উত্তোলন করেছে তার দায়ভার বর্তমান কমিটি বহন করবে না। কারন ওই টাকা উত্তোলনের সময় বর্তমান কমিটি দায়িত্বে ছিল না।
অতিরিক্ত ফি আদায় ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ বলেন, অতিরিক্ত ফি আদায় করে বিদ্যালয় উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার কাছে এখনও ১৩ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুকুমার চন্দ্র হালদার বলেন, শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ফি আদায় করা অপরাধ। আমি অভিযোগ পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।