শুভ শর্মা, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও)::
জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার গুয়াগাঁও গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের একমাত্র মেয়ে মৌসুমী আক্তার সুমি দীর্ঘদিন স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে তার দুই শিশুকে নিয়ে চরম বিপাকে পরেছে।
জানা যায়, ২০০৯ সালে রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা পারবর্তীপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আমিরুল ইসলামের সাথে মৌসুমী আক্তার সুমির বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের দুই সন্তান জন্মগ্রহন করে বড় মেয়ে আনিসা (৬), ছোট ছেলে মুসা (২)। এক সময় স্বামীর পরকিয়ার জের ধরে তাদের সংসারে অশান্তির আগুন জ্বলে উঠে। স্ত্রী সুমীর উপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন।
সুমির স্বামী কোন অযুহাত ছাড়াই এক তরফাভাবে তালাক দিলে সুমি বাবার বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হয়। কিছুদিন পর স্থাণীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিচার সালিশের পর সুমি স্বামীর সংসারে ফিরে এসে ছয় মাস ঘর সংসার করে। তাতেও লাভ হয়নি গৃহবধু সুমির। আবার নির্যাতন শুরু হয়। সুমিকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। জীবন বাঁচার তাগিদে আবারও বাধ্য হয়ে ফিরতে হয় বাবা-মায়ের সংসারে। অভাবী বাবার সংসারে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দুই সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটছে সুমির। দুই সন্তানের বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সুমির কোন লাভ হয়নি। সে পায়নি কোন সুবিচার। এদিকে আমিরুল স্ত্রী-সন্তানের মর্যাদা না দিয়ে সুমিকে মোবাইল ফোনে মেরে ফেলার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। প্রাণের ভয়ে ভবিষ্যতের জন্য সুমি (২০ আগষ্ট) রবিবার পীরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, যাহার নম্বর ৭৭৯।