বিশেষ প্রতিনিধিঃ মোঃখলিলুর রহমান

শিরোনাম শুনে অাপনার হাসি পেতেই পারে,তবে বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। চার পাশে একটু ভাল করে দেখলেই বুঝবেন। এটি কেবলই হাঁসি ঠাট্রা করে বলা হয়নি। সত্যকার অর্থেই বাড়ছে পুরুষ নির্যাতন।শারীরিক ভাবে হয়তো নয়, তবে মানসিক ভাবে নির্যাতিত পুরুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়চ্ছেই। পুরুষরা হয়তো নিজের পৌরাষের অহাংকার বা লোকলজ্জার ভয়ে তা প্রকাশ করে না, অার সেই সুযোগটাই লুফে নিচ্ছেন কিছু সুযোগ সন্দানী
নারী।
বেশীর ভাগ বিয়ের ক্ষেএেই দেখা যায় বরের যতটুকু দেন মোহর দেয়ার সাধ্য অথবা কনে যতটুকু পাওয়ার যোগ্য তার থেকে কয়েকগুন বিশী করে দেন মোহর ধরা হয়।
দেন মোহর ধার্য্য করা উচিৎ কনের শিক্ষাগত যোগ্যতা, রুপ, গুন, অার্থিক ও সামাজিক ও বরের সামর্থ্যর সঙ্গে সামান্জস্য রেখে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেএেই তা করা হয় না। বেয়ের পরে যেন সহজে বিয়ে না ভাঙ্গে তাই জোর করে
দেনমোহরের বোঝা বরের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।
বাসর ঘরে বরও হয়তো তা মেনে নেয়। কিন্তু মাপ অাসলে
মিলে না। বরাং সব কিছুর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেনমোহর ধার্য করা হলে তা বিয়ে চলাকালীনই পরিশোধ করা হলে সেটাাই সাস্হদায়ক, এবংবাস্তব সম্মাত।দুঃখ জনক হলেও
সত্য, কিছু কনের অভিভাবককে দেখে মনে হয়,বিয়ে অাসলে বিয়ে নয়, যেন ব্যবসা ।
স্ত্রী নির্যাতনের খবর অামরা অহরহ পেয়ে থাকি। এবং তা এতই বেশী যে তার অাড়ালে ঢাকা পড়ে যায় পুরুষ নির্যাতনের খবর গুলো।
অাসলে পুরুষ নির্যাতনের সব খবর সব সময় খবরও হয় না।
অাইনগত সুবিধা এবং সংবাদের বাজার মূল্য এখন ও এদেশের নারীদের একতরফা দখলে । বেশীর বাগ ক্ষেএে
দেখা যায়, একজন নারী তার বিরুদ্ধে নির্যাতনে অভিযোগ
অানলেই অভিযুক্ত পুরুষটি এবং তার পরিবারকে (যদি তারা প্রভাবশালী না হয়) হয়রানী করা হচ্ছে। এ সব অভিযোগ যে সব সময়ই সত্য হয় এমন কিন্তু নয়। অনেক ক্ষেএে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশল হিসাবে নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়। সব চেয়ে হাস্যকর মামলাটি হচ্ছে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এই কাজটি করা হচ্ছে, এবং মেয়েটি তো সম্মতি ছিল। বিয়ের
যদি সমাধান হয় তবে বিয়ের প্রলোভনে না পড়ে বিয়ের পরই শয্যাসঙ্গি হওয়াই তো উচিৎ।
বিবাহিত পুরুষদেরও তাদের স্ত্রীর অত্যচারে নিরীহ জীবন যাপন করতে দেখা। ওখানে গেলে কনে? ওটা করলে কেন?
অমুক ভাবীর এই জিনিষটা অাছে অামার নেই কেন?
শাড়ী, চুড়ি,গহনার বায়না, স্বামী বেচারার হয় দফা রফা।
কিছু স্ত্রী মনে করেন, তেদের স্বামী এটিএম মেশীন, চাপ দিলেই টাকা বের হয়ে অাসবে।
অধিকাংশ পুরুষই খারাপ হয়, পরিবারের সদস্যদের চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে, স্ত্রী যদি স্বামীকে ঘুষ খেতে
কিংমবা দুর্নীত করতে বাধা দেন, তবে সংসারের শান্তীর জন্য হলেও স্বামীটি সেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
এবার কর্তা ব্যাক্তির কাছে এক লোক একটি কাজের জন্য গেল। তার পি এস জানালেন, স্যার ঘুষ ছাড়া কাজ হবে না।
তবে ঘূষ খান ভিন্ন উপায়ে, যমন অাগামীকাল স্যারের স্ত্রী অমুক শপিংমলে শপিং করতে যাবেন।
এবং শপিং শেষে কাজ প্রার্থী লোকটির যদি তার সমস্ত কেনা কাটার বিল পরিশোধ করেন তবেই লোকটির কাজ পেতে পারেন।তাই হল। পরদিন কর্তাব্যাক্তির স্ত্রীর গাড়ী থেকে নেমে গ্যাট গ্যাট করে যা মন চায় কিনে অাবার গাড়ীতে ফিরে গেলেন তিনি, একবারও ভাবলেন না, এই টাকা কার, এই টাকা কিসের, যে জিনিষ গুলো নিয়ে যাচ্ছি
তাতে অামার কত টুকু অধিকার,কত মানুষের অশ্রু,ঘাম
অা র রক্তমাখা এই টাকা।
নারী নির্যাতন কিংমবা পুরুষ নির্যাতন সম্পূর্ন বিষয়টি অাসে মানবিকতার অভাব থেকে।
নির্যাতন অামরা চাই না,
সেটা নারী নির্যাতন কিংমবা পুরুষ নির্যাতন যাই হউক না
কেন। চাই অামাদের সম্পর্কগুলো মানবিক হউক।

নারী পুরুষকে এবং পুরুষ নারীকে বুঝতে পারুক।
একে অপারের ভাল বাসার মূল্য দিক।
অাবেককে সম্মান জানাক।
পরস্পরের জন্য সম্মানীয় একটি অবস্হান তাড়া তৈরী করুক, সংসার সমাজ তৈরী হয়।
উভায়ের ত্যাগ এবং ভাল বাসার মাধ্যমে লোভ কিংমবা
হিংষা থেকে নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *