শুভ শর্মা, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি::
মাত্র দেড় মাস বয়সে আগুনে দগ্ধ হয়ে কোনো মতে বেঁচে যাওয়া একটি শিশুর নাম আবুল কাসেম।
ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেলাতৈর ভদ্রপাড়া গ্রামের মো: আজিমুল হক ঐ শিশুটির বাবা। পৃথিবীতে এসে এক অগ্নি দূর-ঘটনায় বিশাল বিষাদের সমক্ষীন হতে হয় আবুল কাসেমকে।
আজকে সে আর শিশু নেই সে আজ ৩ সন্তানের পিতা। মানুষের মত হাঁটতে না পারলেও জীবনযুদ্ধের এই অপরাজয়ী সৈনিক পুরোনো তিনটি বিয়ারিংয়ে কাঠ লাগিয়ে তাতে ভড় দিয়ে ছুটে যান তার কর্মস্থল ইট-গিটি ভাঙ্গার কাজে । প্রতিদিন বিয়ারিংয়ের কাঠের তক্তার উপর চরে দু’হাতে মাটি পেছনে ঠেলেই তাকে যেতে হয়।
সারা দিন কাজ করে যে ৩০০-৩৫০ টাকা পায় তা নিয়ে চলে যান বাজারে। আয়ের তুলনায় খরচের পরিমান বেশি হওয়ায় পরিবারের চাহিদা পূরণে হিমশিম খায় তিনি। সাঁঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই বিয়ারিংয়ের উপর ভর দিয়ে উদ্দাম গতিতে বাড়ির দিকে রওনা হয় সে। তার বিয়ারিংয়ের ভনভনানি শব্দ জাগান দেয় জীবনযুদ্ধের এক অপরাজয়ী যোদ্ধা পীরগঞ্জের আবুল কাসেম বাড়ি যাচ্ছে। বাড়িতে তার তিন ছেলে সন্তান ও গৃহিনী থাকে। অবশ্য তার বাবা-মাও জীবিত আছে। তার তিন সন্তান এর মধ্যে বড় ছেলে ৪র্থ শ্রেনিতে পড়ে, মেজ ছেলে পড়ে ১ম শ্রেনিতে আর ছোট ছেলে কেবল বড় হচ্ছে।
কাশেম এর সাথে কথা বলে জানাযায়, ছোট বেলা ঘটে যাওয়া তার জীবনের নানা কষ্টের কথা। স্কুলে যেতে অসুবিধা হতো তাই সে পড়াশোনা করতে পারে নি। তবে নিজের নাম লিখতে পারেন তিনি। জীবনের সব কষ্ট গুলোকে পেছনে ফেলে নিজে পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা না থাকলেও কারো কাছে হাত পাততে হয়নি তাকে। মনের শক্তি তাকে আয় রোজগার এর পথ দেখিয়েছে। এখন তার মনে একটি স্বপ্ন বাসা বেঁধেছে ইত্যাদির অনুষ্ঠানে যেতে চাওয়া। জীবনের কষ্টগুলো ইত্যাদির মাধ্যমে শেয়ার করতে চায় সে। তাকে উৎসাহ উপহার বা যোগাযোগ এর জন্য মুঠোফোন নম্বার: ০১৭৫১৯২৯২৩৮