এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রথম ডোজের টিকা প্রদান বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কায় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিকাদান কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় করছে নারী-পুরুষরা। এর সাথে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে তৈরী হয়েছে বিশৃঙ্খল পরিবেশ। ৫-৬ জন গ্রাম পুলিশ,কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবক শত চেষ্টার পরেও টিকা নিতে আসা মানুষের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যাঁরা আজ টিকা নিতে পারেননি, তাঁরা শুক্রবার ও শনিবার নিতে পারবেন। আর ২৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্র ছাড়াও উপজেলার ১৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রথম ডোজ প্রদান করা হচ্ছে। যাদের এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই তারাও এর আওতায় কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করতে পারবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে টিকাগ্রহীতার সংখ্যাও বাড়তে থাকে৷ ততই তাদের সামলাতে হিমশিম খায় নার্স, স্বেচ্ছাসেবক, গ্রাম পুলিশ কিংবা হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। টিকাকেন্দ্র থেকে গেট পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর অনেকেই টিকা নেয়। এদিকে ভিড় দেখে অনেকেই ফেরত গেছে।
এমটিইপিআই অশোক রায় বলেন, বৃহস্পতিবার টিকা গ্রহণ করেছে প্রায় দুই হাজার। যা গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশী। এর সাথে কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা গ্রহণ করেছে প্রায় এক হাজার। আবার শিক্ষার্থীদের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর টিকা পাওয়া পাকেরহাট গ্রামের নূর মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধ হয়ে যাবে বলে শুনেছেন তিনি। তাই বেশ সকালে টিকাকেন্দ্রে এসেছেন। ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে করোনা টিকা গ্রহণ করেছি।
নাইম হাসান নামে এক যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন শেষ হয়ে গেলো না শোনা অব্দি বাঙালির শরীর জাগ্রত হয় না। এখনো এতো মানুষ ভ্যাক্সিন নেয়নি আশ্চর্য!
যখনই শুনছে ২৬ তারিখের পর প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হবে তখনিই ঝাপিয়ে পড়ছে অথচ কিছুদিন আগে গ্রামে, গ্রামে ও কমিউনিটি ক্লিনিকে ভ্যাক্সিন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে তখন ২০ থেকে ৩০ জন করে মানুষ ভ্যাক্সিন নিতো। মানুষের সংখ্যা দেখে মনে হইতো ভ্যাক্সিন নেওয়ার মানুষ সম্ভবত আর নাই।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, টিকা গ্রহণে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের নানা কার্যক্রমের কারনে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা কয়েকদিনের চেয়ে বেড়েছে। একারনে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সুশৃঙ্খল পরিবেশে স্বাস্থ্য বিধি মেনে টিকা প্রদান করতে জনবল প্রয়োজন সেটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই অবহিত করা হয়েছে।