কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ফকিরেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার(১৯জুলাই) সকালে উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মক্তব ঘরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোন মামলা না হলেও ছাত্রী অভিভাবকের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকের নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী ও মক্তব শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এটি নারী ঘটিত চতুর্থ ঘটনা বলে এলাকাবাসীর দাবী।
এলাকাবাসী ও ছাত্রী অভিভাবক জানায়,ফকিরেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী রফিকুল ইসলাম বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ঘরে মক্তব পড়ান। ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়–য়া এক ছাত্রী মক্তব শিক্ষক রফিকুল ইসলামের নিকট দীর্ঘদিন ধরে আরবী পড়ে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে সে আরবী পড়তে গেলে পড়া নেয়ার সময় রফিকুল ইসলাম তার বুকে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়।এতে ওই ছাত্রী কান্নাকাটি করলে রফিকুল উল্টো তাকে মারধর করে পাশে বসিয়ে রাখে। এবং নিজে মারধর করেছেন বলে সে কাদছে মর্মে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে বলতে থাকেন। পরে ওই শিক্ষার্থীকে নিজে বাড়ীতে পৌছে দিয়ে পড়ার জন্য নিজে মেরেছেন বলে অভিভাবকদের বলেন রফিকুল।ছাত্রীকে পৌছে দিয়ে রফিকুল বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার পর শিক্ষার্থী কান্নারত অবস্থায় শ্লীলতাহানির কথা বাবা-মাকে জানায়। গত দুই দিন ধরে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে নানা চেষ্টা করে উদ্যোক্তারা ব্যর্থ হয় বলে জানা গেছে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রী অভিভাবকের পক্ষ থেকে ন্যায় বিচার চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী ও মক্তব শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এটি নারী ঘটিত চতুর্থ ঘটনা বলে এলাকাবাসীর দাবী। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। রফিকুল ইসলামের ভাই শাহ আলম মিয়া বলেন,আমার ভাই এমন কাজ করতে পারে না। তিনি মক্তবের পড়া না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে মারপিঠ করেছিলেন। শত্রুতা করে আমার ভাইয়ের না অপবাদ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ফকিরেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদা পারভীন জানান,বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রী অভিভাবকের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.আবু সালেহ সরকার জানান,বিষয়টি আজ শুনেছি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *