লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া লালমনিরহাটের এক চাকরিপ্রার্থী ‘অলৌকিকভাবে’ পাস করেছেন। নিয়ম মতে সে এখন মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত। গত ২০ ডিসেম্বর রাতে প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে নির্বাচিতদের তালিকায় রয়েছে ওই প্রার্থীর রোল নম্বর। কিন্তু ৮ ডিসেম্বর পরীক্ষার দিন সকালেই ওই রোল নম্বরধারী গ্রেফতার হন।‘
সৌভাগ্যবান’ ওই প্রার্থীর নাম মো. রফিকুল ইসলাম, রোল নম্বর ৪১২৩৫৯১। ওএমআর শিটে তার সেট কোড ছিল ‘যমুনা’। তিনি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার প্রার্থী। বাবার নাম মো. শামসুল হুদা। তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল লালমনিরহাট জেলা শহরের নেছারিয়া কামিল মাদরাসা।
জানা গেছে, পরীক্ষার দিন রফিকুল ইসলাম ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হন। একইদিন গ্রেফতার হয় সহযোগি সহ আরো ১৯ জন। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র, ব্যবহৃত ডিভাইস, মোবাইল ফোনসহ জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় তারা বিটু এক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের উত্তর বাইরে থেকে দেওয়ার চুক্তি করে একটি চক্র। এ তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জালিয়াতির চেষ্টা করা চাকরিপ্রার্থী ও সহযোগীদের গ্রেফতার করে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বিটু এক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের উত্তর বাইরে থেকে দেওয়ার চুক্তি করে একটি চক্র। এ তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জালিয়াতির চেষ্টা করা চাকরিপ্রার্থী ও সহযোগীদের গ্রেফতার করে।পরে তাদের নামে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী জানান, গত ২০ ডিসেম্বর রাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে।
‘কারা গ্রেফতার বা বহিষ্কার হয়েছিলেন তা এই মহুর্তে বলা বলা যাচ্ছে না। তবে আনুষ্ঠানিক ফলাফলের শিট আমাদের হাতে আসলে রোল নম্বর মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে ওই রোলধারী বহিষ্কার কিংবা গ্রেফতার হয়েছিলেন কি না।’
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গ্রেফতার চাকরি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে রয়েছেন।