কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
ক্লাসের অভ্যন্তরীণ বিষয়কে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে স্কুলে ক্লাস নেওয়াকে কেন্দ্র করে সহকর্মী শিক্ষিকাকে জুতাপেটা করেন আরেক শিক্ষিকা। এ ঘটনায় ওই স্কুলসহ ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে,এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়লই মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ভুক্তভোগী আহত ওই শিক্ষিকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বড়লই মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান শিক্ষক বাদে ৪ জন নারী সহকারী শিক্ষক রয়েছেন সেখানে। বিদ্যালয়ের রুটিন অনুযায়ী ক্লাস নিয়মিত চলে আসছিল। ১০ আগস্ট বুধবার স্কুল চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিত মাছুমা খাতুনের সাথে অপর শিক্ষিকা মিলা খাতুনের বাকবিতণ্ডার হয়। এক পর্যায় দুইজনের মধ্যে চুলটানা হেচড়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। অফিস কক্ষে আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষকা মিলি খাতুন জুতা দিয়ে সহকর্মী শিক্ষিকা মাছুমা খাতুনের শরীরের এলোপাতাড়ি মারপিট করেন।
মিলি খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্বামী মুকুল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান নিজেরদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে । আমরা অভিভাবকদের সাথে বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।
বড়লই মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বকুল বলেন ভুল বুঝাবুঝির কারণে অনাঙ্কাক্ষিত ঘটনাটি ঘটে । বিষয়টি মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান সহকারী শিক্ষিকা মাছুমা খাতুন লিখিত আবেদন করেছেন । এ বিষয়ে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।