এস এম আসাদুজ্জামান,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
আত্মীয়ের বাড়ী থেকে ফেরার পথে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নিরাপরাধ সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের গৃহবধুকে পরিকল্পিত ভাবে হেনস্থা করেছে ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন। মাদক না থাকলেও জোরপূর্বক শরীর তল্লাশী করায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলার সংবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা বুধবার রাতে ওই পুলিশের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের ছোট বোন সুলতানা পারভীন জানান, বধুবার সন্ধ্যায় পানিমাছকুটি গ্রামের আবুল ফাত্তার স্ত্রী শাহানাজ বেগম ও স্বজন ফরিদা পারভিন উপজেলার শিমুলবাড়ীর সন্তরার পাড় গ্রামের ফজলুর বাড়ীতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ফেরার পথে তারা ঠাকুরপাঠ এলাকায় আসলে ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই.) ইসমাইল হোসেন তাদের বহনকৃত অটো রিক্সটি আটক করে শাহানাজ বেগমের শরীরে মাদক বাধাঁ আছে বলে অটোর অন্য ৫ জন যাত্রীর সবাইকে নামিয়ে নেন।
এ সময় বাকরুদ্ধ অন্যান্য মহিলারা নিজেদের পরিচয় দিয়ে কাকুতি-মিনতি করা সত্ত্বেও জোরপূর্বক পাশের করিম তেলির বাড়ী নিয়ে গিয়ে শাহানাজ বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশী করে। কিন্তু কোন মাদক তার কাছে না পাওয়ায় পরে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় হতভম্ব শাহানাজ বেগম জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুঠে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ফুলবাড়ীতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা দায়ী পুলিশের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চেয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।
অটোরিক্সা চালক তৈয়ব আলী জানান, আমার অটোরিক্সায় তল্লাশীর নামে গৃহবধুর বোরকা খুলে নেয়া এসআই ইসমাইল এটা করতে পারেন না। নারী জাতির অপমান।
আহতের ভাই বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফুলবাড়ী প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম জানান,ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাতে উপযুক্ত বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । কিন্তু ১৬ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি ।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান , বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে আহত মহিলাকে দেখাতে গেছেন তিনি। বিষয়টির দ্রুত সমাধান হবে বলে তিনি আশা করেন।
এ ব্যাপারের ফুলবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এস আই) ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার জানান,ওই গৃহবধকে ঠাকুপাঠ এলাকার হারুনের স্ত্রীকে দিয়ে তল্লাশী করে মাদক না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।