এস এম আসাদুজ্জামান,ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি ঃ ২১.৬.১৭
গত বুধবার সকাল ৭ টায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২০টি দোকান আগুনে ভস্মিভূত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল সম্পুর্ন রুপে পুরে যায়। বাজারে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলেও তারা দু’ঘন্টা পর ঘটনা স্থলে পৌছার কারনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষ দর্শিরা। এতে ফুলবাড়ী বাজারের শতশত বিক্ষুব্ধ মানুষ ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনা স্থলে পৌছা মাত্রই ইট পাঠকেল ছুড়ে গাড়ী ভাঙ্গার চেস্টা করেন। ঈদ বাজারে এ ধরনের অনাকাংখিত অগ্নি কান্ডের ঘটনায় ফুলবাড়ী বাজারের দোকানদারদের ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে।
বাজারটিতে তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজির হোসেন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী সরকার, ইউএনও দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও উপস্থিত থেকে স্থানীয় জনতার সঙ্গে থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান।
স্থানীয় আশরাফুল, হারুন-অর-রশিদ, দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম সহ অনেকে জানান, বুধবার সকাল ৭ টার দিকে তারা দেখতে পান একটি কাপড়ের ও বীজের দোকানের উপরিভাগ দিয়ে আগুনের ধোঁয়া উঠছে। পরক্ষনেই তারা শোর চিৎকার করলে ঘুম থেকে উঠে এসে লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। এরই মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাজারে। তাৎক্ষনিক ভাবে শতশত লোকজন উপস্থিত হলেও আগুনের প্রখরতায় সেখানে কেউ পৌছিতে পারেনি। ফলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ২০টির অধিক দোকান। পুড়ে যায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ। এ সময় তামিম লাইব্রেরী,মনসুরের কাপড়ের দোকান,ডাব্লিউ এর বীজের দোকান, ফারুক,একরামুল,মান্নান,বিঞ্চু এর কাপড়ের দোকান, শাহাজাহান ও দুলালের জুতার দোকান,আজিজুল,আশরাফুল ও জহুরুলের রড় গালা মালের দোকান,রফিকুলের ডিমের দোকান, হাকিম,জহুরুল,নোলা ও আনিচুরের মুদি দোকান ও আলমগীরের ফলমুলের দোকান পুরে ছাই হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও জানান, আমি দ্রুত গিয়ে সেখানে উপস্থিত হই। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুত তাদের পূনর্বাসনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।