এস এম আসাদুজ্জামান,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
রোববার সকাল সাড়ে আটটায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার কালিরহাট বাজার সংলগ্ন সমন্বয় পাড়ার হাফেজিয়া মাদ্রাসার মাঠে জানাজা নামাজ শেষে তার বাবার বাড়ির বাহির আঙ্গিনায় তাকে দাফন করা হয়।
ঢাকার বনশ্রীতে নিহত গৃহকর্মী লাইলী বেগমের এই করুণ মৃত্যুর জন্য দায়ী গৃহকর্তা মুন্সী মাইন উদ্দিন, তার স্ত্রী শাহানা বেগম, কেয়ারেটেকার তোফাজ্জল হোসেন টিপু সহ জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করেন এবং লাইলীর সন্তানদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান জানাযায় অংশ গ্রহন কারী স্থানীয় জনতা।
এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে গত শনিবার বিকালে লাইলীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রবিবার ভোর পাঁচটায় লাইলীর বাবা নজরুল ইসলাম ও ঢাকায় অবস্থানরত স্বজনরা লাশ নিয়ে লাইলীর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট বাজার সংলগ্ন সমন্ময় পাড়ায় পৌঁছায়। লাইলীর লাশ আসার খবরে দাশিয়ারছড়ার অধিবাসীরা লাইলীর বাবার বাড়িতে ভিড় করে। সেখানে এক হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়।
উলেখ্য,গত ৪ আগস্ট শুক্রবার রাজধানীর বনশ্রী জি বকের ৪ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়ি থেকে লাইলীর (২৬) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন রাতেই লাইলীর স্বামীর ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় গৃহকর্তা মুন্সী মাইন উদ্দিন, তার স্ত্রী শাহানা বেগম, কেয়ারেটেকার তোফাজ্জল হোসেন টিপুর নাম উলেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।