বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি
ক্রমানয়ে নভেল করোনাভাইরাসের দাপট বেড়েই চলেছে। সারাবিশ্ব এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। করোনার প্রভাবে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে।
যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা আরো করুন । আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় হতাশা বেড়েছে নিম্নবিত্ত পরিবার গুলোর।
জানা গেছে, এক মাস ধরে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন করোনা প্রতিরোধের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। তারা মানুষকে নানাভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য উপজেলা প্রশাসন সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব তৈরির জন্য শহর এবং হাট বাজার গুলো ফাঁকা করে দিচ্ছেন। ফলে রিকশা চালক, ভ্যান চালক, অটোরিকশা চালক, সিএনজি চালকরা এখন আর রাস্তায় বের হতে পারছেন না। একারণে তাদের আয়ের পথ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে মানেবতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে এসব পরিবারকে।
এছাড়াও গ্রামের দিনমজুর , শ্রমিক,জেলে ,ভিক্ষক সহ বিভিন্ন শ্রেণির শ্রমজীবীদের আয়ের পথ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। বিশেষ করে নারী প্রধান পরিবার গুলো অসহায় অবস্থায় দিনানিপাত করছে।
অনেক পরিবারই খাদ্য সংকটে ভুগছেন। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা চেয়ারম্যান , ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা যে পরিমান খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। আবার যাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে তা দিয়ে একদিনের বেশি চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। একদিকে যেমন আয় বন্ধ রয়েছে অন্যদিকে খাদ্য সমস্যা তৈরি হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে এসব নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে।
তবে এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় ৫৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার জানান, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা মানুষের পাশে থেকে সবার্ত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যাদের যাদের প্রয়োজন তাদেরকেই ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পযার্য়ক্রমে সবার ঘরেই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *