বিশেষ প্রতিনিধি :
বরগুনার তালতলী উপজেলার দক্ষিন কবিরাজপাড়া মডেল একাডেমী’র নবম শ্রেণির ছাত্রী লিমা আকতার ও তার পিতা ১৮দিন যাবত পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কবিরাজপাড়া গ্রামের প্রতিবেশী গণি শরীফের ছেলে বখাটে নাসির শরীফ (৩৫) ঐ ছাত্রীকে দীর্ঘদিন যাবৎ কু-প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ভাবে উক্ত্যাক্ত করে আসছিলো।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে লিমার বাবা মোস্তফা শরীফ গত ১২ ফেব্রুয়ারি বখাটে নাসির শরীফের বিরুদ্ধে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি বখাটে নাশির শরিফ জানতে পেরে পরের দিন লিমার বাবা পঞ্চাশোর্ধ দিনমজুর মোস্তফা শরীফকে হত্যার হুমকি দিয়ে জুতাপেটা করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এবং লিমাকে ছিনিয়ে নেওয়ার প্রকাশ্যে ঘোষনা দেয়। এ ঘোষনার পর ভয়ে লিমার পরিবার লিমাকে তাদের দুর সম্পর্কীয় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে মোস্তফা শরীফ এখন প্রানের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
লিমার পরিবার সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের প্রতিবেশী গনি শরীফের ছেলে বখাটে নাসির শরীফ (৩৫) লিমাকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যাক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কান্নাজড়িত কন্ঠে উত্যাক্তের শিকার লিমা আকতার জানান, আমার স্কুলে যাওয়া ও আসার পথে বখাটে নাসির প্রায়ই পথ রোধ করে দাড়াতো এবং আমাকে কু-প্রস্তাব দিতো। আমি নাসিরের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ভয়ভীতিও দেখায়। এ বিষয়ে আমার বাবা বাদী হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারী বরগুনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে পরের দিনই বাবাকে জুতা পেটা করে ও হত্যা করার হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করে।
লিমা আকতার আরো জানান, বাবা পলাতক থাকায় নাসির এখন আমাকে ছিনিয়ে নিতে চায়। তাই আমি এখন এক আত্মীয়র বাড়িতে আত্মগোপনে আছি। দক্ষিণ কবিরাজপাড়া মডেল একাডেমীর প্রধান শিক্ষক ছোহরাফ হোসেন মুঠোফোনে লিমার স্কুলে আসা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লিমা আকতার ১৪ ফেব্রুয়ারী থেকে বখাটে নাসিরের ভয়ে স্কুলে আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তালতলী থানার ওসি (তদন্ত) ফজলুল হক জানান, আদালত থেকে নির্দেশের পর গত শনিবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।