মোঃ মনির হোসেন ঝালকাঠি প্রতিনিধি : শৈশব থেকে কিশোর আর কিশোর থেকে যুবক পুরো সময়টাই বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে রেখেছে ঝালকাঠির জয় মাতব্বর। বয়স এখনো কুড়ির কোঠা পার হয়নি। ঝালকাঠি সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে অর্থাভাবে থেমে গেছে লেখাপড়ার চাকা। পিতা রনজিৎ মাতব্বর পেশায় কৃষক। মা ছবি রানী পেশায় একজন গৃহিনী। তারা গ্রামের বাড়ি রাজাপুরের বাঘড়ী এলাকায় বসবাস করে। বাল্য কালে বাবার ক্যাসেট প্লেয়ারে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন শুনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অঘাত ভালোবাসা জন্মায় সেই সময়ে ৩য় শ্রেনীতে পড়–য়া জয়’র। সেই থেকেই শিশুটি হয়ে ওঠে মুজিব ভক্ত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ চোখে দেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। কিন্তু তার ভাষন এবং দেশের প্রতি তার মমত্ববোধের কথা শুনে শুনে তাকে হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে জয় মাতব্বর। এক কথায় ছেলেটি বাল্যকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রেমে বিভোর ছিলো। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে কখনো কখনো নিজ হাতে ছবি আঁকে, কখনো আবার মুজিবকে নিয়ে কবিতা লিখে। ছেলেটির লেখা ‘বাংলার খোকা’ এবং ‘স্বাধীনতার ডাক’ সহ বেশ কিছু কবিতা উল্লেখ যোগ্য। সম্প্রতি শেখ
মুজিবকে নিয়ে একটি গান লিখে নিজেই সুর করেছে। বাবার কাছ থেকে নেয়া নিজের খরচের টাকা জমিয়ে নিজ লেখা গানটি নিজের কন্ঠে রেকর্ডিং করিয়েছে। এ যেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি
তার বিরল ভালোবাসা। ছেলেটি চাল দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি চিত্রকর্ম
বানিয়েছে। এটি তৈরিতে তার সময় লেগেছে প্রায় দু’ মাস আর চাল লেগেছে এক হাজারের
অধীক। একান্ত সাক্ষাৎকারে জয় জানান, মুজিববর্ষে মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার জন্যই জাতির পিতার চিত্রটি সে তৈরি করেছেন। এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছানোর আবেদন করে সে ইতি মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে। মুজিব ভক্ত ছেলেটি এ প্রতিনিধিকে আরো বলেন, শেখ মুজিব শুধু একটি নাম নয়, শেখ মুজিব মানে একটি দেশ।
আর তা হলো আমার জন্মভুমি বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে আমি আত্ম তৃপ্তি পাই,
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার লেখা গান, কবিতা ও চিত্রকর্ম প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারলে আমি তৃপ্তি পাবো এবং আমার বাবা-মা গর্বিত হবেন।