রাণীশংকৈল প্রতিনিধি:-
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজে বঙ্গবন্ধুর সন্মানে একটি ম্যুরাল অর্ধনির্মিত অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে পড়ে থাকার পরেও অদ্যবধি নির্মাণ কাজ শেষ না করে ফেলে রাখায় ম্যুরালটি নাজেহাল হয়ে পড়ে। অর্ধ নির্মিত ম্যুরালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির বিভিন্ন অংশ মাটিতে খসে পড়ে ম্যুরালটি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। তবে এমন নাজেহাল অবস্থা দেখে কলেজ কতৃপক্ষ
অর্ধনির্মিত ম্যুরালটি ডেকেরোটরের কাপড় দিয়ে ঘিরে রাখে।
এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বঙ্গবন্ধুর আর্দশের মানুষদের। স্থানীয়রা বলছেন দেশ যখন বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ উদযাপনের লক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক তখন উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ডিগ্রী কলেজে বঙ্গবন্ধুর এমন অসস্মান মেনে নেওয়া যায় না।
তবে বিষয়টি মেনে নিতে পারে নি স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে রোববার উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলীর নেতৃতে এবং ছাত্রলীগ নেতাদের অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে পূর্ণ নির্মাণের আল্টিমেটাম দেন। নচেৎ কলেজের সমস্ত প্রশাসনিক কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন যুবলীগ নেতা রমজান আলী। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক তামিম হোসেন পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলেকসহ অনেকে। যুবলীগ নেতা রমজান আরো বলেন,এ কলেজের অধ্যক্ষ উপধ্যক্ষ কলেজটিকে ধ্বংস করে দিলো। অনিয়ম দূনীতি আর নিয়োগ বাণিজ্য করে থেমে থাকে নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণের নামে টাকাও তারা আত্নসাত করেছে। এদিকে এ কলেজে ঠিকমত ক্লাশ হয় না। এবং কি কলেজের প্রভাষক অধ্যাপকরা ঠিকমত কলেজে আসেনা। আবার যারা আসেন তারা রাজনৈতিক,ব্যক্তিগত আলাপ আলোচনা আর চা চক্রের আড্ডার মধ্যে তাদের শিক্ষকতার দায়িত্ব শেষ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষক ভিন্ন পেশায় জড়িত হয়ে পড়েছে। তারা কেউ কলেজের নীতিমালা মানে না। মানে না সরকারী আইন বা নিয়ম কানুন। শিক্ষকদের এমন আচরণে কলেজের প্রতি ক্ষিপ্ত রয়েছে এলাকাবাসীও। এইচএসসি ডিগ্রী অর্নাস পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি কলেজ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমত নির্ধারণ করে। যা নিয়ে প্রতিবারেই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে অধ্যক্ষ ও উপধাক্ষ।
কলেজ সুত্রে জানা যায়, ম্যুরালটি নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তা বাস্তবায়নের জন্য কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। উপধ্যক্ষ জামাল উদ্দীন মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) তাজুল ইসলাম বলেন, নির্মাণকারীর গাফিলাতির জন্যই ম্যুরালটি এভাবে পড়ে রয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।