বিশেষ প্রতিনিধি:
বরগুনার পাথরঘাটায় ৪৬ জেলেকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন এ দণ্ডাদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষখালী-বলেশ্বর নদীতে অভিযান চালিয়ে পাথরঘাটা থানা ও চরদুয়ানী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ১৩টি ছোট ট্রলারসহ ৫০ জেলেকে আটক করে। আটক জেলেরা বলেশ্বর ও বিষখালী নদীতে চরগড়া (ছোট ফাঁসের জাল) দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আনোয়ার হাং (৫০), বাচ্চু (৪৮), দেলোয়ার (৫২), কবির (২৩), কাশেম (৪৫), হাবিব (৪০), আরিফ (৩০), শাহআলম (৫০), ইসমাইল (২৫), সোহাগ খান (৩৫), আল আমিন (২৫), বেল্লাল (৩০), জয়নাল (৪০), মনির খান (৩৫), নবী হোসেন (২৫), আব্দুর রহিম (৩০), দুলাল খান (৪০), মো. খলিল (৪০), মনির (৩০), মনির হাং (৩৫), আল আমিন হাং (২২), আবুল বাসার সর্দার (৫০), নুর আলম (৩৫), মো. নাসির (৪০), বেলায়েত কাজী (৩৬), মো. ছগির হোসেন (৩৮), মো. ছগির হোসেন (২৩), মো. বারেক মিয়া (২৮), মো. মিজানুর রহমান (৩০), মনির হাং (৩০), জাফর সরদার (৫০), মিজানুর রহমান (২২), মো. সাইফুল (২৫), মো. সোহেল (৩৮), মো. মিজান (৩০), মো. জাহাংগীর (৪০), মো. ইমাদুল হক (৩৫), মো. আবু হানিফ (৪০), বশির হাং (৩২), আ. খালেক খান (৩৫), রিপন হাং (৩৮), ইউসুফ (৩০), শাহ জাহান আকন (৫০), ইউসুফ সরদার (৩৫), দুলাল হাং (৪০), আল আমিন (৩০)। তাদের বাড়ি পাথরঘাটা সদর ও চরদুয়ানী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
এছাড়া মো. বেল্লাল ফকির (৪৫), আক্কাস খান (১৮), মো. মামুন (১৮), আবু তালেবকে (২২) শারীরিক অসুস্থ্য ও অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, ছোট ফাসের জাল দিয়ে মাছ শিকার করা অপরাধ। এ কারণে ৪৬ জেলেকে ১৫ দিন করে জেল, ১৩টি ট্রলার প্রকাশ্য নিলাম, তিন লাখ ৩২ হাজার জাল পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া পোনা মাছগুলো পচে যাওয়ায় তা মাটিতে পুতে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জিয়াউল হক জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের জেল হাজতে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে।