কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
একমাত্র কন্যা সন্তানের জন্য বাচতে চায় চিলমারীর এভাসকুলার নেক্রসিস(এভিএন) রোগে আক্রান্ত মোছা.মাহমুদা আক্তার মুন্নি। এভাসকুলার নেক্রসিস(এভিএন) রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে মুন্নি। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ীহাট শিকার পাড়া এলাকার রিক্সা চালক মঞ্জু মিয়ার কন্যা মোছা.মাহমুদা আক্তার মুন্নি(৩২)। উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ইচ্ছা থাকলেও অর্থাভাবে পড়াশুনা করতে পারেনি। সংসারের অভাব মিটাতে ২০০৭ সালে এইচএসসি পাশ করা মুন্নি স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিয়ে হয় থানাহাট ইউনিয়নের বজরাতবকপুর এলাকার মমিনুল ইসলাম নামে এক যুকতের সাথে। তাদের ১২বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বেকার স্বামীর সংসারে থেকে কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চাকুরী করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোন রকমে তাদের সংসার চলে।বেশ কিছুদিন ধরে পায়ে ব্যাথা অনুভুত হয়। সে ব্যাথা হঠাৎ কোমর পর্যন্ত উঠতে থাকে।ব্যাথার কারনে আস্তে আস্তে চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায় মুন্নির। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানতে পারে এভাসকুলার নেক্রসিস(এভিএন) রোগে আক্রান্ত হয় মুন্নি।অর্থাৎ গোটা হিপ জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক দুট বলসহ গোটা হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করলে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। আর এজন্য সবমিলে ১০থেকে ১২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। রিক্সা চালক গরিব পিতা এবং বেকার স্বামীর পক্ষে এত টাকা যোগান দেয়া অসম্ভব। ১২বছর বয়সের কন্যা মিথিলার কথা ভেবে বাচতে চায় মুন্নি। এজন্য তিনি বিত্তশালীদের সহযোগীতা কামনা করেন। যোগাযোগ করুন মো.মঞ্জু মিয়া মুন্নির বাবা ০১৪০১-৭৬৮১৭৪।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *