ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে মোট ৩৩টি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে, তবে এর মধ্যে তিস্তা চুক্তি বা প্রতিরক্ষা চুক্তি থাকবে কি-না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আগামী ৭ এপ্রিল শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক হবে।
এ সফরের আগে মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলিকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সফরের সময় কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে কি-না।
মাহমুদ আলি বলেন, “হলে জানতে পারবেন। আমরা কোনো কিছু গোপন করবো না, যখন হবে তখন জানিয়ে দেবো।”
তিনি বলেন, “যথাসময়ে দেখতে পাবেন। তবে ধৈর্য ধরতে হবে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলি আরো বলেন, সম্ভাব্য এই প্রতিরক্ষা চুক্তির বিরুদ্ধে তার ভাষায় “নিন্দুকরা যা বলছেন – এর মধ্যে তেমন কিছু নেই।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আরো প্রশ্ন করা হয়, এই সফরের সময় তিস্তা চুক্তি কতটা গুরুত্ব পাবে?
জবাবে তিনি বলেন, “অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টন নিয়ে আলোচনা হবে।” তবে তিস্তা নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হবে কিড়-না – তা মাহমুদ আলি স্পষ্ট করেননি।
মাহমুদ আলি বলেন, “পুরো বিষয়টা সার্বিকভাবে দেখতে হবে। একটা চুক্তি হলো কি হলো না – এতে কিছু যায় আসে না। দেখতে হবে যে ধারাটা কোথায় যাচ্ছে।”
এই সফরে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩৩টা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে জানানো হয়।
বলা হয়, এর মধ্যে থাকবে দু’দেশের মধ্যে বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা, আন্ত:সংযোগ ও বাণিজ্য, মহাকাশ গবেষণা, রেল এবং বাস চলাচলের মতো বিষয়গুলো। -বিবিসি