প্রতিবেদক
রবিবার বামনী বাজারে নোয়াখালী প্রতিদিনের হকার হাসানকে ধমক দিয়ে নোয়াখালী প্রতিদিনের সবক’টি কপি ছিনিয়ে নিলেন রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার। তিনি হকারকে বামনীতে না আসার হুমকি দেন। এই ঘটনায় রবিবার রাতে নোয়াখালী প্রতিদিনের কোম্পানিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ আবু নাসের বাদী হয়ে কোম্পানিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করেন। ডায়েরি নং-৮৫৪, তারিখ: ২৪.০৬.২০১৮। জানা গেছে, মাহমুদা সুলতানা নামক এক যুবতীকে ২ মাস পূর্বে চেয়ারম্যান ১০ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। বিয়ের ২ মাসের মাথায় কোন কারণ ছাড়াই চেয়ারম্যান মাহমুদাকে তালাক দেয়। কাবিনের টাকার জন্য মাহমুদা সমাজপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে গেলেও চেয়ারম্যান ইকবালের ভয়ে কেউ মাহমুদার পাশে দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছিল না। শেষে মাহমুদা কোন উপায় না দেখে জেলা সদরে সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদা তার বিয়ে তালাক পরবর্তী চেয়ারম্যান ইকবালের হুমকি ধামকির বিয়ষটি তুলে ধরেন। বিভিন্ন সংবাদপত্রের পাশাপাশি দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিনও এ সংবাদটি গত ২৪ জুন প্রকাশ করে। রবিবার বেলা ১১টায় নোয়াখালী প্রতিদিনের হকার কিশোর হাসান বামনী বাজার পত্রিকা বিক্রি করতে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে ডেকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান ইকবাল পত্রিকার হকার থেকে পত্রিকাগুলো রেখে ভবিষ্যতে বামনী বাজারে আসতে বারণ করে। এদিকে নোয়াখালীর জনপ্রিয় দৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পত্রিকা নোয়াখালী প্রতিদিন বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় বিভিন্ন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং অনেকে চেয়ারম্যান ইকবালের নানা অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য নোয়াখালী প্রতিদিনকে প্রদান করেছেন। এব্যাপারে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের মহাসচিব কিবরিয়া চৌধুরী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, যেখানে বর্তমান সরকার সংবাদপত্রেন অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সেখানে এরকম অকিমাত্রার হাইব্রিড আওয়ামী লগি পরিচয়দানকারীরা সংবাদপত্রের উপর বিভিন্নভাবে আঘাত হেনে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। এতে মূলতঃ সরকারের ভামমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তিনি অনকিবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
কোম্পানিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।