ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধি,
বন্ধু পুনর্মিলনী মানেই বন্ধুদের মিলন মেলা। তাও আবার ১৯৮০ সালের ব্যাচ। কিন্তু না, এটি বন্ধু-১৯৮০ ব্যাচের পুনর্মিলনী নয়। সেখানে যুবক হতে বৃদ্ধ বয়সী সবার মিলন মেলা লেগেছে। যে মেলায় চলছে হাউজি খেলা (এক ধরনের জুয়া)।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর হতে রাত পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলা শহরের স্বপ্নছায়া কমিউনিটি সেন্টারে বন্ধু পুনর্মিলনীর আড়ালে এমন হাউজি খেলার কথা জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হন পুলিশ। আর পুলিশ দেখে পণ্ড হয়ে যায় খেলা। দৌড়ে পালিয়ে যান খেলায় অংশ নেওয়া মানুষরা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বপ্নছায়া কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে বন্ধু পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান-২০২২ ব্যাচ ১৯৮০, এমন ব্যানার টাঙানো ছিল। আর ভেতরে চলছিল হাউজি খেলা। সেখানে প্রায় এক হাজার লোকের উপস্থিতিতে ছয় ঘণ্টাব্যাপী চলছিল এ খেলা। হাউজি শীটের উল্টো পৃষ্টে স্বপ্নছায়া কমিউনিটি সেন্টারের নাম সম্বলিত সীল রয়েছে। জয়পুরহাটের বিভিন্ন উপজেলাসহ বাহিরের জেলার মানুষদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস রাস্তার পাশে রাখা ছিল।
রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, নওগাঁ জেলা থেকে এসে হাউজি খেলায় অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা কেউই ১৯৮০ ব্যাচের ছাত্র ছিল না। প্রশাসনের অনুমতি আছে বলে তাদের সেখানে আনা হয়েছে। পরে পুলিশের তাড়া খেয়ে সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায়।
স্বপ্নছায়া কমিউনিটি সেন্টারের স্বত্বাধিকারী তরিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৮০ সালের ব্যাচের কালাই-ক্ষেতলাল উপজেলার বাসিন্দা পরিচয়ে কয়েকজন আমাদের সেন্টার ভাড়া নেয় এবং বলেছিল আমরা রাফেল ড্র করব। কিন্তু তারা বন্ধু পুণর্মিলনী ব্যানার টাঙিয়ে ভেতরে হাউজি খেলছিল। বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি।
পরে পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়। এতে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক চেয়ার ভাঙচুর হয়েছে। তারা যে খাবার খেয়েছে তার বিলও দেয়নি। আর হাউজির সীটের পেছনে যে সিল ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও আমার প্রতিষ্ঠানের নয়। এমন সিল আমার প্রতিষ্ঠানে নেই। এটাও তারা জালিয়াতি করেছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা সাংবাদিক বলেন, বন্ধু পুনর্মিলনীর আড়ালে হাউজি খেলা চলছে এমন ঘটনা জানার পর সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় হাউজি খেলার সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। সে সময় কাউকে আটক করা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।