স্টাফ রিপোর্টার;
বাগেরহাটের জেলার চিতলমারী উপজেলার ৭নং সন্তোষপুর ইউনিয়নের দরিউমাজুড়ী গ্ৰামের ৫ নং ওয়ার্ডে সাংবাদিক রণিকা বসু (মাধুরী) তার পরিবারের সাথে বসবাস করেন৷গত ২৭/১/২০২১ইং তারিখ বুধবার দুই দফায় তার বাড়ি সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়৷ প্রথম দফায় সকাল ১১ টায় তার বাড়িতে ১৫-২০জন সন্ত্রাসীরা হাতুরি, সাবল, রামদা,
কুরাল ও মোটা লাঠি দিয়ে হামলা চালিয়ে তার বৃদ্ধ পিতা বিমল বসু (৭০)বৃদ্ধা মাতা প্রিয়া বসু (৬৫) ছোট ভাই তন্ময় বসু (২৫) ভাইয়ের স্ত্রী অর্পনা বসু (২২)ও ১ বছরের কোলের শিশুসহ মোট ৫ জনকে মেরে রক্তাত ও আহত করে ফেলে রেখে যায়৷পরে তাদের আহত ও রক্তাত অবস্থায় চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়৷ দ্বিতীয় দফায় বিকাল ৪টার সময় গ্রাম পুলিশ মনোজ বসু তার বহিরাগত ১০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালান৷এ সময় গ্রাম পুলিশের নেত্রীত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীরা সাংবাদিকের বাড়িতে একখানা টিনের ঘর তুলেন।বাড়িতে থাকা ভাইয়ের স্ত্রী অর্পনা বসুকে হুমকি ধামকি ও নোংরা কথা বলে এবং বাড়ি ছেরে চলে যেতে বলেন গ্রাম পুলিশ মনোজ বসু৷ ঘটনার সময় সাংবাদিক রণিকা বসু (মাধুরী) বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না৷তিনি নিউজ সংগ্রহের কাজে খুলনা গিয়েছিলেন৷ খবর পেয়ে তিনি সরাসরি হাসপাতালে চলে আসেন।তিনি সাংদিকদের বলেন আমি বাড়ি ছিলাম না খবর পেয়ে সোজাসুজি হাসপাতালে চলে আসি সেখানে বাবা মা ভাইয়কে দেখতে গেলে তাকে রবিনা গাইন (২৫)অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন প্রতিবাদ করলে তপন গাইন ( ৪০)তেরে মারতে আসেন৷সাংবাদিক রণিকা বসু মাধুরীর কাছে সাংবাদিকরা আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন গ্রাম পুলিশ মনোজ বসুর সাথে তার পারিবারিক কোন শত্রুতা ছিলো না৷তবে সাংবাদিক হিসাবে গ্রাম পুলিশ মনোজ বসু আমার প্রতি হিংসাত্ব ছিলেন৷আমার বাড়িতে আশ্রয়রত একজন অসহায় এতিম মুসলিম মেয়ে থাকেন এই মেয়েটাকে কু-প্রস্তাব করেন এর প্রতিবাদ করি এবং তিনি গ্রামের অসহায় মানুষদের ভাতার কার্ড,চালের কার্ড ,সরকারী ঘর পাইয়ে দেবার নাম করে তাদের থেকে নগদ অর্থ আদায় করে আসছে৷এসব বিষয় প্রতিবাদ করায় তিনি আমার প্রতি ক্ষুদ্ধ ছিলো৷তারই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হামলা চালানো হয়েছে ৷ উল্লেখ্য এই গ্রাম পুলিশ মনোজ বসুর নামে চিতলমারী থানায় মেয়ে সংক্রান্ত বিষয় আগেও একটা মামলা আছে৷ চিতলমারী থানার ওসি মীর শরীফুল হক জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷