কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম চিলমারীতে থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরিক্ষায় অতিরিক্ত ফি ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্দ
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে প্রতিবাদ করলে সোমবার প্রথম পরিক্ষা পর্যন্ত
ফি আদায় স্থগিত করা হয়। জানাগেছে, থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরিক্ষা সোমবার ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়। পরিক্ষায় খরচ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়টি সোনালি ব্যাংকের চিলমারী শাখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায়ে নোটিশ প্রদান করে স্কুল কতৃপক্ষ। নোটিশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি কৌশলে বিগত বছরের চেয়ে কয়েকগুন বেশি সেসন ফি, বেতন ও পরিক্ষার ফি আদায় করে। এর মধ্যে সেসন ফি নির্ধারণ করা হয় ৮’শ টাকা, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর পরিক্ষার ফি ৩’শ টাকা, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর ৪’শ টাকা ও বেতন সকল শ্রেণীর ৬০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়।
তথ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ১১৭ জন, ৭ম ১৫৩ জন, ৮ম ১৩৪ জন ও ৯ম এ ৭৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সে হিসেবে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর পরিক্ষার ফি ৩’শ টাকা হারে মোট ৪৬ হাজার ১৭ টাকা, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর ৪’শ টাকা হারে ৮৫ হাজার ২’শ টাকা, মোট ৪৮৩ জন শিক্ষার্থীর সেসন ফি ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪’শ ও বেতন ২৮ হাজার ৯৮০টাকা সহ মোট ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৭ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রধান শিক্ষকা কৌশল অবলম্বন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অতিরিক্ত ফি নির্ধারণ করায় বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা
রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে প্রতিবাদ করেন। পরে ফি আদায় স্থগিত করে ২৮ তারিখের পরিক্ষা নেয়ার আশ্বাস দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ শেফাউন্নাহার। এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকা মোছাঃ শেফাউন্নাহার জানান, ফি নির্ধারণের বিষয়টি বর্তমান সভাপতি ইউএনও স্যার জানেন না। এর আগের সভাপতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি নিয়েছেন। ফি প্রদানের বিষয়টি পুন:নির্ধারণ করা হবে।
অভিভাবক রহিম বলেন, কলেজের পাবলিক পরিক্ষা স্কুলে নেয়ার কারণে নভেম্বর মাসে পাঠদান বন্ধ থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ক্লস নেয়া হয় না। অথচ ফরমফিলাপ ও পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে। ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থী লিমন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের স্কুলে নিয়মিত ভাবে ক্লাস হয়না। গত দুই মাস থেকে পাবলিক পরিক্ষার কথা বলে স্কুল বন্ধ ছিলো। এবার তো কলেজ শাখার পরীক্ষা আমাদের এখানে নেয়া হচ্ছে। রাকিব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এ বছর ব্যাংকের মাধ্যমে পরীক্ষার যাবতীয় টাকা আদায় করার কারণে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ফি দিতে বাধ্য করেছেন। ফলে অনেকেই এই টাকা দিতে পারছেন না। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও চিলমারী উপজেলা নিবার্হী কমকতা (ইউএনও) মোঃ
মাহাবুবুর রহমানের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন
রিসিভ করেননি।