লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফের তিস্তার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যে কোন মহুর্তে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ কমে বিপৎসীমার ৬০ সে.মি. নিচ গেলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। পরে রাত থেকে পানি বাড়তে থাকে। বুধবার সকাল ৯টায় পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সে.মি. নিচ দিয়ে রেকর্ড করা হয়েছে।
এতে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘরে পানি ফের পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট।পানিতে তলিয়ে গেছে বাদাম , আমন বীজতলা ও সবজি খেত।
লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী,দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ,
সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতিসহ পাশ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তি এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙ্গণ প্রবন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, পানি বৃদ্ধি আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। খোজখবর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।