মোঃ মনির হোসেন ঝালকাঠি :
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন মল্লিক এর জন্ম ২৮-৩-১৯৪৯ মৃত্যু, ১১-৩-২০২২, ৭৩ বছর বয়সে এ গন মানুষের নেতা চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
তিনি ১৯৭৭ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন মল্লিক। কর্মদক্ষতা ও বিচক্ষণতায় এরপর তাকে আর কখনো পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
এভাবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নয় বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড করেছেন, জয় করেছেন রাষ্টীয় স্বর্ণপদক । বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন মল্লিকের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি বিকনা এলাকার সম্ভ্রান্ত মল্লিক পরিবারের মোঃ আবু বক্কর মল্লিকের চার পুত্রের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন।তার বাবা ঝালকাঠি স্টিমার ঘাট (বিআইডব্লিটিএ )অফিসে চাকরি করতেন। মোঃ আবু বক্কর মল্লিকের চার ছেলে ও তিন কণ্যাদ্বয়ের মধ্যে এক কন্যা জীবিত আছেন তাহার নাম মঞ্জু বেগম তিনি ঝালকাঠি পোস্ট অফিস রোডের বাসিন্দা।
মোবারক হোসেন মল্লিকআওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ইউপি নির্বাচন ২১ জুন ২০২১ সে নবম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছিলেন। জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি একজন সফল রাজনীতিবিদ মোবারক হোসেন মল্লিক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, জাতীয় শ্রমিকলীগ ঝালকাঠি জেলা শাখা আহ্বায়কের দায়িত্বে।
এছাড়াও মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ইউনিয়নের সিংহভাগ মানুষের কাছেই প্রিয় এই মোবারক হোসেন মল্লিক।
এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি মানুষের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন তিনি।
শাসক নন, জনগণের সেবক হয়ে কাজ করেন মোবারক হোসেন মল্লিক। যে জন্য সবার কাছে প্রিয় ছিলেন তিনি। এলাকায় মাদক নির্মূল থেকে শুরু করে যেকোনো অনৈতিক কাজ প্রতিরোধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে সবার প্রিয় মোবারক হোসেন মল্লিক।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুতে ঝালকাঠি জেলার মানুষ শোকাহত।
ঝালকাঠির ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু (এমপি ), জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ,বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ,সামাজিক সংগঠন ,ও সাংবাদিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেন।