নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌর শহরের আটুয়া এলাকায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছে মুর্শিদা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে সে তরল কীটনাশক পান করে আতœহত্যার চেষ্টা চালায়। শুক্রবার সকালে আতœহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মুর্শিদার পিতা বাদী হয়ে স্বামী, শ্বাশুড়ি, দেবর সহ ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সকালেই লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ মুর্শিদা আটুয়া এলাকার আব্দুল আলীমের স্ত্রী।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর দুলাল সেখ জানান, বুধবার বিকেলে আব্দুল আলীম বাড়িতে ফিরে দেখে স্ত্রী মুর্শিদা ঘরে নাই। অনেক ডাকাডাকির বেশ কিছুক্ষণ পর ফিরে আসলে আলীম তার স্ত্রীকে বকা-ঝকা করে নিজেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বের হওয়ার সময় জানায়, ‘আমি যেনো ফিরে এসে তোর মুখ আর না দেখি’। এর ৫/৭ মিনিট পরেই রাগে-অভিমানে মুর্শিদা কলাগাছের বাগানে দেয়ার জন্য তরল কীটনাশক পান করলে তাকে দ্রুত বনপাড়ার একটি ক্লিনিকে ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে শুক্রবার বিকেলে পথিমধ্যে বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এদিকে আতœহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মুর্শিদার পিতা খাদেমুল সরকার বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর মোহাম্মদ আলী, দেবর মনির সেখ ও ইদ্রিস আলী এবং মামা শ্বশুর শাজাহান আলী সেখকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের কথা শুনে আসামীরা সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। বড়াইগ্রাম থানার ডিউটি অফিসার এসআই আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *