বিশেষ প্রতিবেদক
দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন সম্পাদক ও নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল আনোয়ার চলতি বছর ভারত থেকে তৃতীয়বারের মতো সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পদক পেলেন। এর আগে তিনি ২৯ শে জানুয়ারি’২০১৭ কলকাতার রোটারি সনদে সৃজন বার্তা মৈত্রী পদক ও ৭ মে’২০১৭ ভারতের বারাসাতে বারাসাত কবিতা গোষ্ঠী কর্তৃক কথামালা পদক লাভ করেন। ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় কলকাতার সত্যজিৎ রায় অডেটোরিয়ামে উদার আকাশ আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবে এ পদক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রম বিভাগ মন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার, পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্য আহমেদ হাসান ইমরানসহ বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বাংলাদেশের বহুমাত্রিক লেখক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ কে উদার আকাশ আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় এ অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে আরোও যাঁরা সম্মানিত হলেন তাঁরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবী, সামশুল আলাম, সমাজসেবী ও সাহিত্যিক, রফিকুল ইসলাম, রক্তদান আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা ও সমাজসেবী, ডা: মো: আবেদ আলি, সমাজসেবী ও লেখক, খোকন মিয়া, সমাজসেবী, পার্থ নিয়োগী, সমাজকর্মী। সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসেবে উদার আকাশ ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মাননা পেলেন, জয়ন্ত দে, সাহিত্যিক ও সম্পাদক সাপ্তাহিক বর্তমান, মো: জহিরুল ইসলাম খোকন, সম্পাদক, অবাক পৃথিবী, বাংলাদেশ, এমদাদুল হক নূর সম্পাদক, নতুন গতি, সমীর কুমার দাস, সম্পাদক, আওয়ার ভয়েস, সাহানা নাগ চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক, সুব্রত নাগ চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কাজী গোলাম গউস সিদ্দিকী, প্রাক্তন সাংবাদিক, আনন্দবাজার পত্রিকা, আয়ুব আলি, বিশিষ্ট সাংবাদিক। সংগীতের জন্য মৈত্রী সম্মাননা পেলেন, কল্যাণী কাজী, নূপুর কাজী ও আনিসা বিনতে আবদল্লাহ্, সংগীত শিল্পী, বাংলাদেশ। সাহিত্যের জন্য মনোনীত হয়েছেন, আবদুর রাকিব, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, আবদুর রব খান, কবি ও সাহিত্যিক, আনসার উল হক, শিশুসাহিত্যিক, ওয়ালে মহাম্মদ, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, লালমিয়া মোল্লা, কবি ও সাহিত্যিক, ড. রাসবিহারী দত্ত, শিশুসাহিত্যিক, রফিকুল হাসান, বিশিষ্ট কবি। শিক্ষাবিদ হিসেবে সম্মাননা পেলেনন, ড. গৌতম পাল, অধ্যাপক, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, ড. প্রকাশচন্দ্র পট্টনায়ক, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, ড. আমিনা খাতুন, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, ড. শিবুকান্ত বর্মন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, দীপক দাস, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাফিসা পারভিন, অধ্যাপিকা ও সমাজকর্মী আসানসোল গার্লস কলেজ। চিত্রকরদের মধ্যে অজয় সান্ন্যাল, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী, বাংলাদেশ, মৃনাল বনিক, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী, বাংলাদেশ, সাত্ত্বিক বিশ্বাস, শিশু চিত্রশিল্পী, শ্রীমহাদেব, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী, সারফুদ্দিন আহমেদ বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী, আবত্তি শিল্পী হিসেবে বিশেষ সসম্মাননা পেলেন ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ড. শিবুকান্ত বর্মন রচিত গবেষণা গ্রন্থ “মহাশ্বেতা দেবী গল্পবিশ্ব : লৈঙ্গক প্রতিরোধ” এবং সম্পাদনা গ্রন্থ “অন্য মহাশ্বেতা সমালোচকের দর্পণে” উদার আকাশ প্রকাশনের এই নতুন বই দুটির প্রকাশ করবেন, সাহিত্যিক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ ও সংগীতকার কবীর সুমন, অধ্যাপিকা ড. আমিনা খাতুন, অধ্যাপক ড. প্রকাশচন্দ্র পট্টনায়কসহ সকলেই। সমগ্র প্রোগ্রাম সুচারু ভাষায় পরিচালনা করলেন, সূর্পণা মজুমদার। একক আবৃত্তি করলেন, শুভ্রা সেনগুপ্ত, সাদেকুল করিম, মৌসুমী হোসেন, বহিৃশিখা গোস্বামী প্রমুখ। নৃত্য পরিবেশন করলেন নৃত্যজা, ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত, সুমন দাস। সংগীত পরিবেশন করলেন আনিসা বিনতে আবদুল্লাহ্, বাংলাদেশ, তীর্থ বিশ্বাস, মধুশ্রী হাতিয়াল ও সোমঋতা মল্লিক কলকাতা। এছাড়াও আবৃত্তির দল ছিল সেন্টার স্টেজ এদের সকলকেই উদার আকাশ মৈত্রী সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের বিশিষ্ট কয়েকজনকেও “ উদার আকাশ ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মাননা” তুলে দেওয়া হল। ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবের আয়োজক, উদার আকাশ পত্রিকার ও প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, এই মৈত্রী উৎসবের মধ্য দিয়ে দুই বাংলার পবিত্র ভাব ও ভালবাসা আরও মজবুত হল। আত্মিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হল। গোটা বিশ্বে হানাহানি রুখতে এবং সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এই মহতী মৈত্রী উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।