খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
২০২৩-২৪ সালের জন্য দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ভিডব্লিউবি কর্মসূচীর আওতায় ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে ইউনিয়ন পরিষদের মতামত গ্রহণ না করা, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগে কর্ম বিরতির ঘোষণা দিয়েছে উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য-সদস্যারা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ১০টায় খানসামা উপজেলা প্রেসক্লাবে জরুরী এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবির পক্ষে যৌক্তিক বক্তব্য প্রদান করে
কর্ম বিরতির ঘোষণা দেন উপজেলা ইউপি সদস্য ও সদস্যা ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৬ টি ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যাগণ।
লিখিত বক্তব্যে তাঁরা বলেন, ২০২৩-২৪ সালের জন্য ভিডব্লিউবি (ভিজিডি) কর্মসূচীর আওতায় যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে সেটি নিয়ম মেনে হয়নি। ইউএনও মহোদয় অটোমেশনের কথা বলে স্বেচ্ছাচারিতা করে তালিকা তৈরী করেন। এটি সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত। অন্য উপজেলায় যে নিয়মে হয়েছে আমাদের এখানে সেই নিয়মে হয়নি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এই ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ৬ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য-সদস্যারা কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করবেন।
তাঁরা আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও চুরি-ছিনতাই রোধে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পরিকল্পনায় আনসার ভিডিপি সদস্যদের রাত্রিকালীন পাহারাদার হিসেবে রাখা হয়।
কিন্তু চলতি মৌসুমের ভিজিডি তালিকায় রাত্রিকালীন পাহারাদার, কমিউনিটি ক্লিনিকের আয়া ও বিভিন্ন দপ্তরের বিনা বেতনের কর্মচারীর নাম নেই। এতে পুরো উপজেলা জুড়ে তারা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছে। এই ঘটনার সুরাহা প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলীর হস্তক্ষেপ চাই।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদের মতামত ও ভিডব্লিউবি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর ছাড়াই ইউএনও, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও ইউপি সচিব খানসামা উপজেলায় চূড়ান্ত হওয়া ভিডব্লিউবি কর্মসূচীর ২৬৫৯ জনের তালিকা সংশোধন করার দাবিতে গত ১০ জানুয়ারী দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করেছিল ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য-সদস্যারা।
পরে ওসি চিত্তরঞ্জন রায়ের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হওয়ায় অবস্থান কর্মসূচী প্রত্যাহার করে এই উদ্ভুত পরিস্থিতির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মাসিক সভাসহ উপজেলা প্রশাসনের সকল কাজ বর্জন করেন ৬ ইউপি চেয়ারম্যানগণ। কিন্তু এখনও এবিষয়ে কোন বৈঠক না হওয়া বা সমাধানের আশ্বাস মেলেনি বলেই ক্ষোভে কর্মবিরতি ঘোষণা এসেছে।