ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ভুরুঙ্গামারীতে অবশেষে মুক্তিযোদ্ধার পা ধরে মাফ চেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের রোষানল থেকে মুক্তি পেল সহকারী শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন।
জানাগেছে ,গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভরতের ছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী বিদ্যালয়ের কাজে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেনের দপ্তরে যায়। এসময় তিনি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। উল্লেখ্য নদী ভাঙ্গনের শিকার ঐবিদ্যালয়ে ভবন নির্মান নিয়ে জটিলতা চলছে। বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে উত্তেজিত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও মোস্তাফিজুর নামে একজন শিক্ষক তাঁকে গলা ধাক্কাদিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়। এঘটনা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে ঐ কর্মকর্তাকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বদলী সহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করে। এসময় উত্তেজিত মুক্তিযোদ্ধাদের হট্রোগোলে উপজেলা সমন্বয় সভা পন্ড হয়ে যায়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসার বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিচারে সহকারী শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করায় ঐ মুক্তিযোদ্ধার পা ধরে মাফ চেয়ে নেয়। উল্লেখ্য ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শিক্ষা অফিসে ইতিপুর্বে মুক্তিযোদ্ধার কোঠা বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদানের ঘটনাতেইও মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষা অফিস ঘেরাও করেছিল এবং সাম্প্রতিক সময়ে আরেক উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মহসীন আলীর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ,নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে এবং এক সহকারী শিক্ষিকার নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে ভুরুঙ্গামারী থানায় গত ৩০ এপ্রিল একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভুরুঙ্গামারী শিক্ষা অফিসে এরুপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায় এলাকার সচেতন মহল দ্রুত ঘটনা তদন্ত পুর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।