ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
ভুরুঙ্গামারীতে চুরি হবার ১০দিন পর ওসির (তদন্ত) হোন্ডা উদ্ধার হয়েছে। আর হোন্ডা উদ্ধার করতে পুলিশ খেঁাজ পেয়েছে আন্তঃবিভাগ হোন্ডা চোর সিন্ডিকেট দলের। যার নেতৃত্বে রয়েছেন একজন স্কুল শিক্ষক।
পুলিশের তথ্যমতে, গত ১৯মে দুপুরে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলামের কলেজ রোডস্থ ভাড়া বাসার সামনে পালসার ১৫০ সিসি হোন্ডাটি চুড়ি হয়ে যায়। হোন্ডা হারানোর পর স্থানীয় ভাবে ইমেজ সংকটে পরে পুলিশ। হোন্ডা উদ্ধারকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে তারা মাঠে নামে। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিন ব্যাপারীর হাট গ্রামের হবিবর মেম্বারের (প্রাক্তন) ছেলে রেজাউল হাসান ওরফে আব্দুল বারেক (৩০) কে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক রংপুরের মর্ডাণ মোড় এলাকা থেকে ইসমাইল হোসেনের বাড়ি থেকে গত বুধবার (২৯ মে) রাতে হোন্ডাটি উদ্ধার করে।
ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানিয়েছেন, এরা রংপুর আন্তঃবিভাগ হোন্ডা চোর সিন্ডিকেট দলের সক্রিয় সদস্য। তিনি জানান, বারেক হোন্ডাটি চুরি করে নাগেশ্বরী উপজেলার কুটি পয়রাডাঙ্গা হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের নিকট জমা দেয়। (রফিকুলের কাজ হচ্ছে চোরাই হোন্ডা কিনে তা বিক্রি করা এবং পরে বিক্রিত অর্থ ভাগাভাগি করে নেয়া।) রফিকুল ইসলাম উক্ত হোন্ডাটি বিক্রি করে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইসমাইল হোসেনের কাছে। এই ইসমাইল বিআরটিএর এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে রেজিঃ নম্বর ও টেম্পারিং করে গাড়ির বডি নং পরিবর্তন করে নতুন নম্বর ও বডি নং ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে।