স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভুরুঙ্গামারীতে চাকুরী জাতীয়করণের দাবীতে গত ২০ জানুয়ারী থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিদের লাগাতার আন্দোলনে উপজেলার ৩২ টি ক্লিনিক প্রায় মাসাধিককাল থেকে বন্ধ থাকায় প্রায় লক্ষাধিক গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। উপজেলা সদর হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে,এই উপজেলায় গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীন দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে বর্তমান সরকার এ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেন। প্রতিটি ক্লিনিকে একজন করে কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম চালু করায় গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠী সহজেই স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে আসছিল। এদিকে কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডারদের চাকুরী জাতীয়করণের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসাবে গত ২০ জানুয়ারী থেকে ঢাকায় আন্দোলন শুরু করে। তাদের আন্দোলনের কারনে সারাদেশের মত ভুরুঙ্গামারীতেও ৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রায় মাসব্যাপী বন্ধ থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তৃনমুল পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা। জীবন বাঁচার তাগিদে তারা ছুটছে উপজেলা সদর হাসপাতাল ও বেসরকারী ক্লিনিকগুলোতে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শ্রী সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান,সিএইচসিপিরা আন্দোলনে থাকায় গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাঘাত ঘটায় উপজেলা সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালানো হচ্ছে । এদিকে সরেজমিনে কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে কোথাও স্বাস্থ্য সহকারী বা পরিবার কল্যাণ সহকারীদের পাওয়া যায় নাই। এলাকাবাসীর নিকট জানতে চাইলে তারা জানান,কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার(সিএইচসিপি)রা আন্দোলনে যাওয়ার পর ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরা ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করায় গ্রামীন স্বাস্থ্য সেবা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু করনের দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *