ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে ট্রলির ধাক্কায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু। জোড় পূর্বক সমঝোতা করে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে,গত রোবার দুপুরে তিলাই ইউনিয়নের খোচাবাড়ি গ্রামের কালাম হোসেনের পুত্র কবির হোসেন (১৭) তিলাই উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে বালু ভর্তি ট্রলির ধাক্কায় আহত হলে তাকে ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে ভর্তি (৮১২নং ক্রমিক, পুলিশ কেচ)করা হয়।সেখানে সন্ধ্যার দিকে তার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এঘটনায় স্থানীয় এলাকবাসি ট্রলি আটক করলেও ট্রলির মালিক বাঁশজানি গ্রামের জালাল উদ্দিন পালিয়ে যায়।পরে সন্ধ্যা বেলা মামলা করতে যাবার সময় তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন শিকদার তাদের চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে সমঝোতা করে।এসময় ভুরুঙ্গামারী থানার এসআই জালাল উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, বৈঠকে ১লাখ টাকা জ্বরিমানা করা হলেও মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বাকী টাকা ভাগাভাগি করা হয়।পরে ময়না তদন্ত ও মামলা ছাড়াই রাতে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করা হয়। এব্যাপারে তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহীর শিকদার জানান, উভয় পক্ষ আমার কাছে আসায় আমি ৫০ হাজার টাকায় মিমাংসা করে দিয়েছি। তিনি টাকা ভাগাভাগির কথা অস্বীকার করেন। ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ তাপস চন্দ্র পন্ডিত জানান,এব্যাপারে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। তবে মারা যাবার কথা শুনেছেন। এসআই জালাল উদ্দিন জানান,তিনি দুর্ঘটনার কথা শুনেছেনএবং বিষয়টি চেয়ারম্যান মিমাংসা করেছেন বলে জানান।নিহতের সম্পর্কীত খালু নুরুল ইসলাম জানান, ওটা চেয়ারম্যান মিমাংশা করে দিয়েছ্।ে তিনি বলেন, আমি আগেই চলে এসেছি কতটাকা দিয়েছে তা বলতে পারিনা।