ভুরুঙ্গামারীতে শিক্ষকদের প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্যের কারনে ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকরা শিক্ষকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। জিম্মিদশা থেকে ছাত্র/ছাত্রীদের মুক্ত করতে অবশেষে কোচিংবাজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছে অভিভাবক মহল। জানাগেছে উপজেলার প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে একশ্রেণীর শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ ব্যবহার করে ও বাসায় প্রাইভেট কোচিং খুলে ছাত্র/ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। শুধু তাই নয় যারা প্রাইভেট পড়তে ব্যর্থ হচ্ছে বিভিন্ন পরীক্ষায় তাদের মার্ক কম দিয়ে এবং প্রাইভেট পড়া ছাত্র/ছাত্রীদের প্রশ্নপত্র আগেই সরবরাহ করে পরীক্ষায় বেশী মার্ক দিয়ে মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের নিরুৎসাহ করে মেধাশুন্য করে যাচ্ছে। এছাড়া প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষকরা সারাদিন শ্রেণী কক্ষ ও বাসায় প্রাইভেট কোচিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করে নিয়মিত ক্লাস না নিয়ে দায়সারা ভাবে ক্লাস নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। এ বিষয়ে অভিভাবকরা মৌখিকভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিকট অভিযোগ করেও কোন সুফল না পেয়ে অবশেষে গত ১৫ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ মোতাবেক কোচিংবাজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এইচ,এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,অভিযোগ পেয়েছি ,শীঘ্রই তদন্ত সাপেক্ষে প্রাইভেট কোচিং বানিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।