ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও ত্রানের জন্য হাহাকার। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট,বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় উপজেলার সাথে কুড়িগ্রাম জেলা সদর ও একমাত্র বানিজ্যকেন্দ্র সোনাহাট স্থল বন্দরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুধকুমর নদে সাবমেরিন ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হয়ে পুর্ব দুধকমুর তীরের ৫ টি ইউনিয়ন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জানাগেছে বন্যায় ভুরুঙ্গামারী থেকে সোনাগাট স্থলবন্দরগামী রাস্তার ৭ টি স্থানে এবং ভুরুঙ্গামারী থেকে কুড়িগ্রাম গামী রাস্তার পাটেশ্বরী নামক স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে গভীর খাদ্যের সৃষ্টি হওয়ায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাস,অটো,টেম্পু,পায়ে হেটে এবং নৌকা যোগে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। এদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলছে। বন্যার্ত এলাকায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের আশ্রয়ন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত ৫২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য সরকারীভাবে এ যাবৎ ৬০ মেঃটন চাল ও নগদ ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সরকারী সাহায্যের পাশাপাশি ২৫ কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য এ,কে,এম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এমপির পক্ষ থেকে উপজেলা জাতীয় পার্টি,উপজেলা আওয়ামীলীগ,ভুরুঙ্গামারী প্রেস ক্লাব, পৃথকভাবে নিজ উদ্যোগে বন্যার্তদের মধ্যে খিচুড়ী ও শুকনা খাবার বিতরন করেছে। উপজেলার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় ত্রান অপ্রতুলতা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের চরসতিপুরী,হেলডাঙ্গা ও চর ধাউরারকুটি গ্রামের হাজার হাজার বন্যার্তদের মধ্যে ঠিকমত ত্রান পৌছেনি বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, সরকারীভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নের বন্যার্তদের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে তবে ¯্রােতের তীব্রতার কারনে চরসতিপুরী,হেলডাঙ্গা ও চরধাউরারকুটিতে যেতে না পারলেও সংশ্লিষ্ট ই্উপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ত্রান দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।