ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ব্যাপকহারে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। এতে খামারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। লাম্পি স্কিন রোগের বিস্তার রোধে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল বুধবার জনসচেতনতামূলক সভা করেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত দুইদিনে উপজেলার প্রায় প াশজন খামারী লাম্পি স্কিন রোগ আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা নিয়েছে। একধরনের ভাইরাস, মশা-মাছি, আটালি ও ইনজেকশনের সুচের মাধ্যমে এ রোগ ছাড়াচ্ছে।
লাম্পি স্কিন রোগের বিস্তার রোধে বুধবার দুপুরে উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরে খামারী, জনপ্রতিনিধি, পল্লী প্রাণি চিকিৎসক, ইমাম ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের মন্তাজ আলী বলেন, একটি বাছুরে সমস্ত শরীর গুটি গুটি হয়ে ফুলে গেছে। গলায় টিউমারের মত শক্ত হয়ে আছে।
তিলাই ইউনিয়নের আব্দুর রহিম বলেন, তার ভাই সাইফুর রহমানের চারটি গরুর মধ্যে দুটি গরু লাম্পি রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নরুন্নবী চৌধুরী, ভেটেরিনারি সার্জন হোসনে আরা, প্রাণি সম্পদ স¤প্রসারণ কর্মকর্তা এনামুল হক, জেলা পরিষদ সদস্য জহির উদ্দিন ব্যাপারি ও প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল হক প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, উপজেলায় ব্যাপকহারে লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। তিনি লাম্পি স্কিন রোগের চিকিৎসায় পল্লী প্রাণি চিকিৎসকদের এন্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারে বিরত থাকার আহŸান জানান। খামারিদের খামার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাতে বলেন। এছাড়া ওষুধ বিক্রেতাদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি না করার পরামর্শ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *