বিশেষ প্রতিবেদকঃ
ভুরুঙ্গামারীতে মা মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা,ধর্ষনে জড়িত একজনকে আটক করে পুলিশে দিল এলাকাবাসী। বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ঐ গৃহবধু ও তার পরিবার।
জানাগেছে,উপজেলার উত্তর তিলাই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আল্পনা বেগম (২২) ও তার সতীনের কন্যা নিশি আক্তার(১২) কে নিয়ে গত ২৯ জুলাই কুড়িগ্রাম জেলহাজতে তার স্বামীকে দেখতে যায়। স্বামীর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে ধলডাঙ্গা গ্রামের সুরুজ্জামাল ব্যাপারীর পুত্র সাদ্দাম হোসেন(২৫),মৃত ময়নাল হকের পুত্র খোকন মিয়া(৩২) ও ভুরুঙ্গামারী সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার মোজাম্মেল হকের পুত্র মাসুদ রানা(২৮) তাদের পিছু পিছু যেতে থাকে। মা মেয়ে দুজনে সন্ধ্যা ৭ টার সময় ধলডাঙ্গা আসাদ মোড়ের সন্নিকটে ব্রীজের কাছে পৌছিলে গৃহবধু আল্পনাকে সাদ্দাম হোসেন ও মাসুদরানা এবং তার মেয়ে নিশি আক্তারকে খোকন মিয়া জাপটে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। মা মেয়ের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসলে ধর্ষকেরা পালিয়ে যাবার সময় এলাকাবাসী ধর্ষক খোকনকে আটক করে। পরে আলপনা বেগম বাদী হয়ে ভুরুঙ্গামারী থানায় গত ৩১ জুলাই মামলা দায়ের করে মামলা নং ৩৬,জিআর ১৭৮/১৭। ঐ দিনই পুলিশ আটক খোকন মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এদিকে ঘটনার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও অন্যান্য আসামীদের পুলিশ গ্রেফতার পারেনি। গৃহবধু আলপনা জানায় আসামী পক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় তারা বিভিন্ন জনকে দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করায় তিনি ও তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন। মামলার তদন্তকারী এস আই নিমাই কুমার রায়ের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এলাকাবাসী অনতি বিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন।