ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার চারদিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার দশ দিন অতিবাহিত হলেও ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ধর্ষকের ভয়ে মেয়েটি নিজ বাড়িতে আসতে ভয় পাচ্ছে এবং স্কুলে যেতে সাহস পাচ্ছেনা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ই জুলাই উপজেলার দেওয়ানের খামার গ্রামের কামরুজ্জামানের শিশুকন্যা ভুরুঙ্গামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী প্রতিবেশী জনৈক শহিদুল ইসলাম (৪০) কর্তৃক পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়। শিশুটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে প্রথমে হোমিও চিকিৎসক ও পরে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। এব্যাপারে বিভিন্ন দেন-দরবার ও টালবাহনা শেষে গত ২০শে জুলাই ভুরুঙ্গামারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নথিভুক্ত হয়। মামলা নম্বর-২১। ডাক্তারী পরীক্ষায় নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। মামলা দায়েরের ১০দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আসামী ধরা পড়েনি।
ধর্ষক ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় আতঙ্কে রয়েছে নয় বছর বয়সী শিশুটি ও তার পরিবার। শিশুটির পিতা কামরুজ্জামান জানান, এঘটনার পরে মেয়েটি বাড়িতে আসতে সাহস পাচ্ছেনা। ফলে শিশুটিকে উপজেলার জয়মনিরহাটের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, মেয়েটি এখন স্কুলে যেতেও সাহস পাচ্ছেনা। ফলে শিশুটির লেখাপড়া বন্ধ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে মামলাটি আপোষের জন্য ধর্ষিতার আত্বীয় স্বজনেরা চাপ প্রয়োগ করছে। ওসি তাপস চন্দ্র পন্ডিত জানান, আসামী পলাতক থাকায় তাকে ধরা যাচ্ছেনা।আসামী ধরার চেষ্টা চলছে।