ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে একটি আবাসিক মাদ্রাসার সুপার কর্তৃক ২ মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করে পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খামার আন্ধারীঝাড় আন নুর বহুমুখী ক্যাডেট মাদ্রাসায়। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানায় কয়েক বছর আগে খামার আন্ধারীঝাড় গ্রামের কেফাতুল্লাহর ছেলে কারী শহিদুল ইসলাম(৪০) তার নিজ বাড়িতে আন নুর বহুমুখী ক্যাডেট মাদ্রাসা নাম দিয়ে একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান চালু করে এলাকার ছেলে মেয়েদের ইসলামী শিক্ষা প্রদানের নামে রাতের আধারে ঘুমন্ত শিশু ছাত্রীদের উপর যৌন নির্যাতন করে আসতো। লোকলজ্জার ভয়ে অনেক ছাত্রী মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেক। এদিকে উক্ত লম্পট গত ৩ জুন গভীর রাতে ২য় শ্রেণীর ছাত্রীকে এবং ১১ জুন ১ম জামাতের ছাত্রীকে রাতে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি তাদের অভিভাবকরা জানার পর তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাদ্রাসার সভাপতি মিজানুর রহমান মহুরীর নিকট উক্ত লম্পট কারী শহিদুলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করে। গত ১৪ জুন গ্রাম্য শালিস বসলেও উক্ত শহিদুল ইসলাম বিচারে অনুপস্থিত থাকায় ঐ দিনই ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।পরেরদিন ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এদিকে লম্পট শহিদুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করায় গত ১৯ জুন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী লম্পট শহিদুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভুরুঙ্গামারী সার্কেল,কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার, ও রংপুর ডিআইজি অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।