আব্দুল কুদ্দুস চঞ্চল,নাগেশ্বরী থেকে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরীতে লবণের দাম বেশী রাখায় ১৩ জনের জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এ ১৩ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানা করে।
ভূরুঙ্গামরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভূরুঙ্গামারী সদরের ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেনকে ৫০ হাজার এবং পাটেশ্বরী বাজারের আনোয়ার হোসেনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এদিকে নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন বাজার থেকে ১১ জন খুচরা বিক্রেতাকে আটক করে প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহম্মেদ মাছুম।
এছাড়া গুজব ঠেকাতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। বাজরে বাজারে মনিটরিং এবং মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের তৎপর ভূমিকার ফলে লবণের মূল্য স্বল্প সময়ে স্বাভাবিকে নেমে আসলেও গ্রামের দিকে মনিটরিং না থাকায় সেখানে এখনো চড়ামূল্যে লবণ বিক্রি হচ্ছে বলে গুজব রয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহম্মেদ মাছুম জানান, গুজবের বিরুদ্ধে পুলিশ মাঠে নেমেছে এবং বণিক সমিতির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে, আশা করছি অল্প সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।
কুড়িগ্রাম বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, দেশে লবণের চাহিদা রয়েছে প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিকটন। সেখানে মজুদ রয়েছে ১৮ লাখ মেট্রিকটন। আয়োডিনযুক্ত প্যাকেটজাত লবণ সরকার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। কোনও খোলা লবণ বিক্রি বা খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
খোলা লবণ শুধুমাত্র চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে মানভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে লবণ বিক্রি হচ্ছে বলে এই কর্মকর্তা জানান। ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের এএসপি শওকত আলী জানান গুজব সৃষ্টিকারী ও চড়ামুল্যে লবন বিক্রিকারী ব্যবসায়ীদের সনাক্ত করতে মাঠে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম জানান, গুজব সৃষ্টি করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী প্রতারণামূলক বাজার সৃষ্টি করেন। এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে। গুজবে কান না দিয়ে যেসব ব্যবসায়ী চড়ামূল্যে লবণ বিক্রি করছে তাদের সম্পর্কে তথ্য দিন আমরা ব্যবস্থা নিব।
সন্ধ্যায় জেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, লবণের দাম বৃদ্ধির গুজবে সবাই ছুটছে লবণের দোকানে। এই সুযোগে ব্যবসায়ী এবং খুচরা দোকানদাররা খোলা লবণে কেজি প্রতি ১০ টাকা এবং প্যাকেট লবণে কেজিপ্রতি ২০ টাকা দাম বাড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীরা ৫০০ টাকার বস্তা বিক্রি করছে ৭০০ টাকা। এরপরও লবণ বিক্রিতে ব্যবসায়ীরা হিমসিম খাচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, লবণের দাম ১০০ টাকা হওয়ার কথা শুনে আমরা সাধ্যমত কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। যে যেভাবে পাচ্ছেন লবণ সংগ্রহ করছেন। লবণ থাকা স্বত্বেও কিছু দোকানদার সংকট দেখাচ্ছেন।