স্টাফ রিপোর্টার
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে পুত্রবধুর স্বীকৃতি দিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে নিল অভিযোগকারী শ্বশুড় গৃহবধু ফরিদা পারভীনকে।
বিয়ের ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার খামার আন্ধারীঝাড় গ্রামের জালাল উদ্দিনের কন্যা ফরিদা পারভীন স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায় করতে তার স্বামী নাহিদুজ্জামান নবেলের বাড়িতে গিয়ে উঠলে তার স্বামী নাহিদুজ্জামান নবেল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। শ্বশুড় বাড়িতে দীর্ঘ ১৮ দিন অবস্থানের পর এলাকার কিছু কুচক্রী মহলের পরামর্শে শ্বশুড় শহীদুল্লাহ মিয়া তার পুত্র বধু ফরিদা পারভীনের নামে বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের দায়ে থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় আনলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। এদিকে থানায় আটকের পর উভয় পক্ষের সমঝোতা না হওয়ায় গৃহবধু ফরিদার স্বজনরা শহীদুল্লাহ ও তার লম্পট পুত্র নাহিদুজ্জামান নবেলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করে । পরে থানা কর্তৃপক্ষ পরের দিন অভিযোগকারী শহীদুল্লাহ মিয়ার নিকট মুচলেকা নিয়ে তার জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে ফরিদার শ্বশুড় শহীদুল্লাহ মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,গৃহবধু ফরিদাকে পুত্রবধুর স্বীকার ও থানায় মুচলেকা দিয়ে আমার জিম্মায় এনেছি। আমার পুত্রকে খুজে বের করে এনে উভয় পক্ষের সমঝোতায় মিমাংসা করে নেব। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির জানান,উভয় পক্ষ বিষয়টি সমঝোতা করে মিমাংসা করবে মর্মে মুচলেকা দিলে ফরিদাকে তার শ্বশুড়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।