ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ প্রায় দুই শতাধিক মানুষের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক. ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সমাধান না পাওয়ায় অবশেষে আদলতের আশ্রয় নিয়েও বন্ধী জীবনে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। গত ৩০ অক্টোবর/২৩ ইং তারিখে আদালতে একটি ইজম্যান্ট রাইটস ও বাধ্যতা মূলক নিষেধাজ্ঞা মামলা করে যার নং ১৭৬/২৩ খ্রিঃ। বিজ্ঞ আদালত শুনানীর মাধ্যমে বিবাদীদ্বয়কে ১৬ নভেম্বর/২৩ ইং তারিখ উক্ত রাস্তার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। আদালতে মামলা চলমান এবং বিবাদীদ্বয় উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির পরেও তাদের বাড়ির পুর্ব পাশ্বে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তার উপর গত ১৯ নভেম্বর/২৩ ইং তারিখ সকালে নতুন করে একটি এক চালা টিনের ঘর নির্মানের কাজ শুরু করে।এতে ভূক্তভোগীরা বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ এসে বিবাদীদ্বকে ঘর তুলতে নিষেধ করেন। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে আবার তারা রাস্তা বন্ধের ঘরের কাজ সম্পন্ন করে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার আন্ধারীঝার ইউনিয়নের খামার আন্ধারীঝার গ্রামের অভিযুক্ত মৃত বালিয়া শেখের পুত্র খৈমুদ্দিন ও ছকিয়া শেখের স্ত্রী জামেনা বেগম প্রথমে গরু বেধে রাখার জন্য গত ২৪ মে/২৩ ইং তারিখ থেকে এ রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ প্রায় ত্রিশটি পরিবারের প্রায় ষাট বছর পূর্ব থেকে এ গ্রামে বসবাস ও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছেন। কিন্তু খৈমুদ্দিন এর পুত্র সুরুজ্জামানের সাথে একটি পরিবারের ঝগড়া মনমালিন্য হওয়ায় রাতের অন্ধকারে এ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান,মেম্বার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদ্বয়কে বিষয়টি অবগত করলে তারা একাধিকবার বিভিন্ন ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করলেও বিবাদীগন কাউকে তোয়াক্কা করেনি।
ভূক্তভোগী আশাদুল ইসলাম ও মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীর পুত্র নুর মোহাম্মদ বলেন, একটা মানুষের জন্য আমরা দুইশ মানুষ গৃহ বন্ধী হয়ে আছি। কনোমতে পায়ে হাটা পথ দিয়ে বের হচ্ছি। কিন্তু কোন প্রকার বড় ভারী মালামাল বের করা কিংবা বাসা বাড়িতে ঢুকাতে পারছি না।
এ ব্যাপারে সুরুজ্জামান জানান, এতদিন রাস্তা দিয়েছি এখন আমাদের গরুর ঘর তোলার দরকার তাই তুলেছি। ইউ’পি চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল জানান, রাস্তাটি পূর্বের ন্যায় খুলে দেওয়ার জন্য বলেছিলাম কিন্তু তারা আমার কথা শোনেননি।
এ ব্যাপারে ইউএনও গোলাম ফেরদৌস এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আদালত ও পুলিশের ব্যাপার ,তাদেরকে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
ওসি রুহুল আমিন বলেন, ঘটনা স্থলে একাধিকবার পুলিশ পাঠানো হয়েছিল । যেহুতু রাস্তাটি রেকট ভূক্ত নয় কিন্তু বহু বছর থেকে শতশত জনসাধারণ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে আদালতের আদেশ অনুযায়ী আমরা বাবস্থা নিতে প্রস্তুত।