রবিউল আলম লিটন,ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গত কয়েকদিন ধরে ক্রমেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বিকেল হতেই কুয়াশার চাদরে ছেয়ে আসছে গোটা উপজেলা। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি কমে যাওয়ায় রাত ও সকাল বেলা শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।এদিকে কুয়াশায় আচ্ছন্ন ও শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। হাড় কাঁপানো শীত একপ্রকার অভিশাপ হিসেবেই দেখা দিয়েছে এই উপজেলার গরিব ও অসহায়দের কাছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুই সপ্তাহে ভূরুঙ্গামারীতে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। ফলে ভূরুঙ্গামারী সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতজনিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের অনেকেই ঠান্ডাজনিত সর্দি, জ্বর, কাশি,নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালের বেডে জায়গা না হওয়ায় শিশু ওয়ার্ডের মেঝেতেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের আরিফা বলেন, দুদিন আগে বাচ্চার হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা শুরু হয়। স্যালাইন খাওয়ানোর পরও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে হাসপাতালে আসছি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে।
ভূরুঙ্গামারী সদর হাসপাতালের একাধীক চিকিৎসক ও নার্স জানান, হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডে বেডে জায়গা হচ্ছে না। তাই মেঝেতে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এক বেডে একাধীক রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে অভিভাবক এবং শিশুরাও কষ্ট পাচ্ছেন। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে রিতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এ এস এম সায়েম বলেন, হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর তুলনায় শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন প্রায় ২০থেকে ২৫ জন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। এছাড়া বয়স্ক শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। শিশু রোগীদেক জিংক ও সেলাইন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *