ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সরকারী রাস্তার প্রায় লক্ষাধিক টাকা মুল্যের একটি কড়ই গাছ কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগে উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ ।
জানাগেছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন কমিটির সহ- সভাপতি সদরুল আলম বাবু গত শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকায় বেআইনি ভাবে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রাস্তার একটি কড়ই গাছের উপরের এক তৃতীয়াংশ শুধু মুলসহ ৪/৫ ফুট অংশ রেখে বাকী অংশ স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে কর্তন করে ছ’মিলে বিক্রি করে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চর ভূরুঙ্গামারী নতুন হাট বাজার হইতে সোনাহাটগামী পাকা রাস্তা সংলগ্ন সদরুল আলম বাবুর বাড়ির সামন হতে একটি লক্ষাধিক টাকা মুল্যের জীবন্ত কড়ই গাছের ৫/৬ ফিট নিচের অংশ রেখে উপরের ৩ অংশ কেটে নিয়ে স্থানীয় নতুনহাট ছমিলে বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করার পায়তারা চালায়। সোমবার (৩০ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর বেআইনি ভাবে সরকারি রাস্তার কর্তন কৃত গাছ উদ্ধার ও বেআইনি ভাবে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রাস্তার গাছ কর্তন করায় সদরুল আলম বাবুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন কাজল মিয়া নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে উক্ত সদরুল আলম বাবুর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও সরকারি রাস্তার গাছ কর্তনের মামলা হয়েছিলো। অভিযোগকারী ও এলাকাবাসীরা জানায় , উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করার পরেও সরকারি রাস্তার কর্তন কৃত গাছ উদ্ধারের জন্য এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয় নি প্রশাসন।
এবিষয়ে সদরুল আলম বাবুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার জমিতে থাকা গাছ আমি কেটেছি।তবে আমি তো সম্পুর্ণ গাছ কেটে নিয়ে যাইনি। গাছের মুল তো রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান,অভিযোগ পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কর্তনকৃত গাছ সরকারী হেফাজতে নিয়েছি এবং গাছ কর্তনকারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হবে।