ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভুল ও অসঙ্গতিতে ভরপুর প্রশ্নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শ্রেণীর পরিবেশ পরিচিতি প্রশ্নপত্রে সাতটি প্রশ্ন থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়। ওই প্রশ্নপত্রের ৩নং প্রশ্নে বলা হয় কাবারের আগে ও পরে কি করতে হয়? প্রশ্নটি হওয়ার কথা খাবারের আগে ও পরে কি করতে হয়। ৪নং প্রশ্নে বলা হয় খাবারের নানা ধরণের ফুল দেখতে পাই। আমাদের পরিচিত পাঁচটি ফুলের নাম বল। প্রশ্নটি হওয়ার কথা বাগানে নানা ধরণের ফুল দেখতে পাই। আমাদের পরিচিত পাঁচটি ফুলের নাম বল। ৫নং প্রশ্নে বলা হয়েছে আমাদের জাতীয মাছের নাম কি? জাতীয এর জায়গায় হবে জাতীয় মাছের নাম কী। ৭নং প্রশ্নে বলা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পিতার নাম কী? জাতীয় পিতার স্থানে হওয়ার কথা জাতির পিতার নাম কী? এছাড়া একই প্রশ্নপত্রে কী দিয়ে প্রশ্ন করতে কখনও ই-কার কখনও ঈ-কার ব্যবহার করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের উদাসীনতা ও অদক্ষতার কারনে প্রশ্নপত্রে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন সচেতন অভিভাবকমহল। প্রশ্নপ্রত্রের অসঙ্গতি প্রসঙ্গে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন-“সমস্যাটা কোথায়? শিক্ষকে না প্রশাসনে? মানহীন শিক্ষক না মেধাহীন প্রশাসন?”। অপর একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন বিজ্ঞান প্রশ্নে শ্রেণি উল্লেখ করা হয়নি। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেও ভুল ছিল। ওই প্রশ্নের বিষয়ের নাম ভুল লেখা হয়েছে। বিষয়ের নাম হবে শারীরিক শিক্ষা কিন্তু প্রশ্নে দেয়া আছে শারীকি শিক্ষা। খ-বিভাগের ১নং প্রশ্নে বলা হয়েছে আমামে কিভাবে দাঁড়াতে হয় দেখাও? হওয়ার কথা আরামে কিভাবে দাঁড়াতে হয় দেখাও? এছাড়া ২নং প্রশ্নে বলা হয়েছে সোজা হতে বললে কিভাবে সোজা হত করে দেখাও? প্রশ্নটি হওয়ার কথা সোজা হতে বললে কিভাবে সোজা হবে করে দেখাও?
প্রশ্নপত্রের হ-য-ব-র-ল অবস্থা সম্পর্কে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুকুল চন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,মুদ্রনে ভুল হওয়ায় পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।ঐ বিষয়ে পুনঃরায় পরীক্ষা নেয়া হবে।