ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফলে ৪৪জন শিক্ষার্থীর ফলাফল বদলে গেছে। তাদের মধ্যে বৃত্তি পাওয়া ১৭জন শিক্ষার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্থগিত ও সংশোধিত উভয় ফলাফলে উপজেলা থেকে ৫৬জন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে এবং ৬১জন শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে।

বুধবার রাতে প্রকাশিত সংশোধিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, স্থগিত হওয়া ফলাফলে সাধারণ বৃত্তি পাওয়া একজন শিক্ষার্থী সংশোধিত ফলাফলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে।

স্থগিত ফলাফলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া ৯জন শিক্ষার্থীর ফলাফল বদলে গেছে। সংশোধিত ফলাফলে তারা সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। এতে সংশোধিত ফলাফলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে নতুন ৮জন শিক্ষার্থী।

এছাড়া স্থগিত হওয়া ফলাফলের সাধারণ বৃত্তি পাওয়া ১৭জন শিক্ষার্থী বৃত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। সংশোধিত ফলাফলে নতুন করে ৯জন শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে।

সাধারণ বৃত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়া এক শিক্ষার্থীর মা পারভীন বেগম বলেন, আমার ছেলে বৃত্তি পেয়েছে এ খবর শুনে তার ছোট বোন পরিবারের সদস্যদের জানতে দৌড়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় আছাড় খেয়ে তার হাত ভেঙে যায়। বুধবার রাতে যে ফল বের হয়েছে তাতে আমার ছেলেকে বৃত্তির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বৃত্তির কারণে মেয়ের হাত ভাঙলো, ছেলেও বৃত্তি পেল না আমরা এখন বিব্রতকর অবস্থায় আছি।

বৃত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়া আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা হতভম্ব। বৃত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়ার খবর শুনে আমাদের মেয়ে কান্নাকাটি করছে। তাকে মিথ্যা সান্ত্বনা দিতে হচ্ছে।

বৃত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়া এক শিক্ষার্থী জানায়, প্রথম ফলাফলে জানলাম বৃত্তি পেয়েছি। পরের ফলাফলে জানলাম বৃত্তি পাইনি। এতে মানুষের কাছে কেমন হয়ে গেলাম। এটা খুব কষ্টের। বৃত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়া অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে।

ফলাফলের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কল রিসিভ করেননি।

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন