নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকের ছড়া এলাকার জে.কে কার্পেট হাউজের সফল উদ্যোক্তা মোঃ খালেদ হাসান, তার কারখানার তৈরি পাপোশ ও কার্পেট এখন সারাদেশে।

একদিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ও অন্যদিকে অন্যদের জন্যও একাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা যে শুধুই চাকরির জন্য, তা কিন্তুু নয়, এমনকি শুধু চাকরিই যে জীবনে সফলতা আনতে পারে এরকম ভাবাও ভুল। চাইলে নিজের মেধা আর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে অন্যভাবেও সফল হওয়া যায়। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই তরুণ উদ্যোক্তা।
তার কারখানা “জে.কে কার্পেট হাউজ” এর তৈরি করা পাপোশ ও কার্পেট এখন জেলার গন্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে। ব্যবসা শুরুর পাঁচ মাসেই পাওয়া ব্যাপক সাফল্য আজ হাসি ফুটিয়েছে অনেকের মুখে। তার মতো আরও বেকার তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন তিনি। ছোট আকারে গড়ে ওঠা কারখানাটিতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে মনে করছেন এই উদ্যোক্তা।

তিনি জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারির দিকে ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুড়তে যান তিনি সে সময় রাইসা কার্পেট হাউজের পরিচালক আব্দুর রউফ নামে একজন ভদ্র লোকের সাথে ভালো পরিচয় হয়, পরে তার কাছ থেকে দীর্ঘ দিন প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ এলাকায় ৫ টি মেশিন দিয়ে শুরু করেন,
ছোট আকারে শুরু করে এখন তার কারখানায় ২০ টি মেশিন কর্মসংস্থান পেয়েছে ২৫ জন বেকার নারী পুরুষ। বাজারে পাপোশ ও কার্পেট এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় নিজ জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় যাওয়া শুরু করেছে তার কারখানার তৈরি পণ্য, তবে এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ডার পাচ্ছেন বলে যানান এ উদ্যাক্তা।

তার পাপোশ কারখানায় কাজ করেন, মোছাঃ ছকিনা বেগম, এর আগে তিনি বছরের পর বছর ঢাকায় গার্মেন্টস শিল্পতে কাজ করতেন। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় সে কাজ ছেড়ে গ্রামে খুব কষ্টে জীবন যাপন করতেন। তিনি জানান, গ্রামে মানুষের কাছে জানতে পেরে জে.কে কার্পেট হাউজ কারখানায় কাজ নিয়েছি। হালকা কাজে ভালো পারিশ্রমিক পেয়ে তার মতো বাকিরাও বেশ খুশি।
প্রথমে ৫ জনকে কাজ শিখিয়ে পথচলা শুরু জে.কে কার্পেট হাউজের এখন কারখানায় ২৫ জন নিয়মিত কাজ করছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে কারখানাটি আরও বড় পরিসরে করতে চান উদ্যোক্তা খালেদ হাসান, এতে ২০০-৩০০ জন বেকারের কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব বলে মনে করেন এ উদ্যোক্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *