জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
দেশের সুনামধন্য মিডিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা ও ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনে ভূয়া সনদ দিয়ে চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে জয়পুরহাটের প্রতিনিধি শামিম কাদিরের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্ত শামিম কাদির জয়পুরহাট টেকনিক্যাল ইনিটিটউট ভকেশনাল থেকে ২০০৮ সালে সি জি পি এ ৩. ৫ নিয়ে উত্তীণ হন । পরে অন্য একটি সিটি কলেজ ইনিটিটিউট থেকে ২০ ১০ সালে সি জি পি এ ৩.৪ নিয়ে এইচ এস সি পাশ করেন।তবে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এস এস ২০১৫ সালে ২.৬০ জি পি পেয়ে পাশ দেখালেও তা ভূয়া প্রমাণিত হয়েছে।তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রিগ্রি পাশের যে সনদ অফিসে জমা দিয়েছেন তার আইডি নং ০৮০২৩৩৩০৪১ আর সিরিয়াল নাম্বার ১৪১৩৬৬৫। অথচ এই আইডি দিয়ে অনলাইনে দেখা যায় সুমাইয়া হায়দার নামে একজন মেয়ে। তার পিতার নাম সুলতান মেহেদী হায়দার, আর মাতার নাম দেওয়া রয়েছে আকলিমা হায়দার।
জাতীর বিবেকধারী এই ভুয়া ডিগ্রিধারী সাংবাদিক জাতির জন্য কতটা নিরাপদ এমন প্রশ্ন সবমহলে। শুধু কি তাই ভূয়া সাটিফিকেটধারী এই সাংবাদিক এখন চৌশে বেড়াচ্ছে জয়পুরহাটের অলিগলি।
এ বিষয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই নামে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী নেই। সে এক মেয়ের সনদ পত্র জাল করেছে। তিনি আরও বলেন এতে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনামক্ষুন্ন হচ্ছে,, আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
আইনে বলা আছে যদি কেউ জালজালিয়াতী করে ৪৬৭ধারার অধিনে এটি দন্ডনীয় অপরাধ । ধারায় বলা হয়েছে ৪৬৬ ও ৪৬৭ ধারানুযায়ী এ অপরাধে সাতবছর পযন্ত শাস্তির বিধানও রয়েছে।
তবে অভিযুক্ত মো. শামীম কাদিরের সঙ্গে কথা হলে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার জানান, শামীম কাদির নামের ১৫ সালের স্নাতক ডিগ্রি পাসের কোন ছাত্রের ওই নামের সিরিয়াল আইডি সঠিক নয় সে হয়ত জালিয়াতি মাধ্যমে এই সনদ বানিয়েছে৷ মূলত অর্থের বিনিময়ে একটি চক্রের মাধ্যমে সংগ্র করেছে৷ এটি ভুয়া সনদ৷