1

ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় ভূয়া জেলা শিক্ষা অফিসার সেজে এক মহিলাকে স্কুল শিক্ষক পদে চাকরী দেয়ার প্রলোভনে প্রতারণা, থানায় মামলা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২নং গোহালবাড়ী ইউনিয়নের আলালপুর গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে এনামুল হক(৪৫) প্রতারণার ফাঁদে ফেলে শিক্ষিত বেকার নারী একই উপজেলার বীরেশ্বরপুর গ্রামের দুরুল হোদার মেয়ে ইসমোতারা বেগমকে মোবাইল ফোনে নিজেকে জেলা রাজশাহী শিক্ষা অফিসার পরিচয় দিয়ে স্কুল শিক্ষক পদে চাকুরি দেয়ার বিশ্বাস জন্ম দিয়ে জুনে ৫ লাখ টাকার দাবী করে। সোনার হরিণ ধরতে অগাধ আত্মবিশ্বাস বুকে ধারণ করে ১৭ জুন/১৬ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর/১৬ পর্যন্ত তার(এনামুলের) ০১৭৮৬-৮০৯৫১১ মোবাইল নম্বরে বিকাশে টাকা দিতে বললে দফায় দফায় এনজিও সংস্থা, স্থানীয় মানুষসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাকুরির লোভে লোনের টাকা, গরু-ছাগল বিক্রয় করে ৪লাখ ৪৫ হাজার ৪০ টাকা প্রদাণ করেন। দীর্ঘ সময় চাকুরির অপেক্ষা করার পর সোনার হরিণ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে চাকুরি আর হবে না চিন্তা করে টাকা ফেরৎ চাইলে আজকাল করে টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করে এমন কি সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারক এনামুল। পরে দাবীদার রাজশাহী শিক্ষা অফিসারের খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন সে একজন প্রতারক। সে বিভিন্ন ভাবে ভাষা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করে থাকে। শুধূ তাই নয় সে প্রতারণার কাজে একাধীক মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন। সে রাজশাহী শিক্ষা অফিসার হিসেবে তিনটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে কথা বলতেন। নম্বরগুলো ০১৭২৩-২২৬৩৩৫, ০১৭২৩-৬২১৪১৩, ০১৭৫২-৬১৯১১৮ সহ আরো অনেক নম্বর ব্যবহার করতো। পরে প্রতারণার শিকার ইসমোতারা বেগম বাদি হয়ে এ প্রতারকের বিরুদ্ধে ১৪ অক্টোবর/১৬ প্রতারণার অভিযোগ এনে ভোলাহাট থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ১১ ধারা-৪০৬, ৪১৯, ও ৪২০।
ভোলাহাট থানার মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই আব্দুস সবুর খাঁন জানান, মামলার পর প্রতারক এনামুল হককে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *