বিশেষ প্রতিনিধঃ

ভোলা দক্ষিণ বঙ্গ পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট কলেজে শিক্ষার নামে চলছে ছাত্রছাত্রীদের সাথে প্রতারণা ও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া সহ সার্টিফিকেট বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। নামে ও প্রচার প্রচারণায় কলেজটি এগিয়ে থাকলেও এখানে নেই কোন দক্ষ প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী। আবার সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করার পাশাপাশি এই কলেজে পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভোলার সদরের বাস স্টান্ড এলাকায় বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ভোলা প্রশিক্ষা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের ব্যবহারিত ভবনে চলছে ভোলা দক্ষিণবঙ্গ পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট কলেজের (কোড নং ৪০০৫২) নামে মাত্র কার্যক্রম। নাম ও প্রচার প্রচারণায় কলেজটি এগিয়ে থাকলেও নেই কোন দক্ষ প্রশিক্ষক ও তেমন কোন প্রশিক্ষণ সামগ্রী। কখন, কোথায়, কিভাবে কারা, ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তার কোন হদিস মিলছে না।
আবার সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করার পাশাপাশি ২০১১ সাল থেকে এ কলেজের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বলে গুণজন রয়েছে ভোলা কৃষি অফিসের সহকারী মাহমুদুল হাসান। তার সাথে রয়েছে বোরহানউদ্দিন সরকারি পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউটে কর্মরত ইলেকট্রনিক্স ইন্সিট্রাকটর এরশাদ হোসেন। মাহমুদুল হাসান ও এরশাদের রয়েছে শক্তিশালী সংঘব্ধ কয়েকটি কমিশন চক্র। তরা এই চক্রের মাধ্যমে ভোলা টেকনিকেট ইন্সিটিটিউট স্কুল এন্ড কলেজ ও ভোলা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট বোরহানউদ্দিনের ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রচারণা দিয়ে দক্ষিণবঙ্গ পলিটেকনিক কলেজে ভর্তির জন্য নিয়ে আসেন। নিয়ে আসা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে শিক্ষার নামে ভর্তি থেকে শুরু করে এই ফি সেই ফি আরো কত কি সহ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া সহ সার্টিফিকেট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন অনায়াসে।
এব্যাপরে ভোলা কৃষি অফিসের সহকারী মাহমুদুল হাসান জানান, দক্ষিণ বঙ্গ পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট কলেজটি প্রতিষ্ঠা করে পরিচালানার করলেও কাগজ পত্রে আমার কোন নাম নেই।
এই খানে ভর্তি হওয়া মানি ইন্জিনিয়ার হয়ে বেড়িয়ে আসা এমনাই প্রচারণা রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের মুখে মুখে। মাহমুদুল হাসান ও এরশাদ হোসেন কি ভাবে সরকারী চাকরি করে একই সময় এই কলেজে দায়িত্ব পালন করেন তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *